October 6, 2025

সিপিএমকে লোক ভাড়া দেওয়া হবে. …

সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলায় তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেসকে একাধিক মঞ্চে একসাথে দেখা যাওয়ার ঘটনা একদিকে যেমন রাজনৈতিক জটিলতাকে তুলে ধরেছে, তেমনি অন্যদিকে এটি বহু মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার জানিয়েছে যে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে তৃণমূলের পাশে থাকতে তাদের আপত্তি নেই। এমনকি, তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলও মন্তব্য করেছিলেন যে, “প্রয়োজনে সিপিএমকে লোক ভাড়া দেওয়া হবে,” যা রাজনৈতিক মহলে একটি আলোচিত মন্তব্য ছিল। এ ধরনের মন্তব্য, বিশেষ করে বিজেপি-বিরোধী জোটের মধ্যে একে অপরকে সমর্থন করার পরও, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং সম্পর্কের জটিলতাকে পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তোলে। তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেসের মধ্যে এই সম্পর্ক ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে, কিন্তু তবুও প্রকাশ্যে তাদের মধ্যে একে অপরকে নিয়ে খোঁচা দেওয়ার ধারা চলছে। এর মধ্যে, তৃণমূলের নেতারা একদিকে যেমন বিজেপি-বিরোধী আন্দোলনকে সামনে রেখে বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় তৈরি করছেন, তেমনি অন্যদিকে তাদের বিরোধীরা আবার এই সম্পর্ককে “তৃণমূল-বিজেপি সেটিং” হিসেবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করছেন। এ পরিস্থিতি রাজনৈতিক পটভূমিতে জনগণের জন্য কিছুটা বিভ্রান্তিকর হতে পারে, কারণ একে অপরকে সমর্থন করলেও নেতাদের বক্তব্য মাঝে মাঝে পরস্পরবিরোধী। কেন্দ্রীয় স্তরের INDI জোটের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্বের পাশে দেখা গেছে, যা আবার এই কৌশলগত সম্পর্কের আরও এক দিক ফুটে উঠেছে। যদিও বাস্তবতা হল, একাধিক রাজনৈতিক পক্ষ একে অপরকে কিছু শর্তে সমর্থন দিলেও, তাদের উদ্দেশ্য বা আগ্রহ একেবারে অভিন্ন নয়। এমন পরিস্থিতিতে, যেখানে তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেসের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠছে, তখন জনগণের কাছে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যের অসঙ্গতি স্পষ্ট হতে থাকে। এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কেননা, একদিকে তারা সবাই বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে চায়, কিন্তু তাদের সম্পর্ক এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এটি রাজনীতি এবং নির্বাচনী কৌশলের একটি খেলা, যেখানে বাস্তবিকতা এবং জনমতকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, কখনও কখনও জোটের নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে সমন্বয় খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

Loading