চেন্নাই থেকে কলকাতা ৩ ঘণ্টায়, ৬০০ টাকায়

সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ ওই! এটা সত্যিই এক দুর্দান্ত ধারণা! 🌊✨ চেন্নাই থেকে কলকাতা মাত্র ৩ ঘণ্টায়, মাত্র ৬০০ টাকায় পৌঁছে যাওয়ার খবর শুনে মনে হচ্ছে যেন একেবারে ভবিষ্যৎ থেকেই চলে এসেছে! IIT-মাদ্রাজ ইনকিউবেটেড স্টার্টআপ Waterfly Technologies এমনই এক আশ্চর্যজনক পরিবহন প্রযুক্তি আনতে চলেছে 

**Waterfly Technologies** এর এই *E-Flying Boat* বা *Wing-in-Ground (WIG) craft* সমুদ্রের উপর দিয়ে ভেসে চলতে পারবে এবং এটিকে বলা হচ্ছে আকাশ ও জাহাজের মাঝামাঝি এক নতুন প্রযুক্তি।

এখন, এর কাজের পদ্ধতি কীভাবে হবে সেটা যদি বলি: – **ইলেকট্রিক সিগ্লাইডার** হিসেবে এটি বিমান ও ফেরির একটি সংমিশ্রণ। এটির সর্বোচ্চ গতি হবে ৫০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা এবং ৪ মিটার উচ্চতায় সবচেয়ে দক্ষভাবে উড়বে। তবে, প্রয়োজনে এটি ১৫০ মিটার পর্যন্ত উঠতে পারবে। একদম যেন বিমান উড়ছে, তবে বিমানবন্দরের ঝামেলা ছাড়াই! – সবচেয়ে মজার ব্যাপার, এটি সমুদ্রের ওপর দিয়ে ভেসে চলে যাবে, সুতরাং পরিবেশ দূষণও হবে না এবং যাত্রা হবে আরও স্মুথ।

**যাত্রী ও কার্গো পরিবহণ** উভয়ের জন্য উপযোগী হবে এই প্রযুক্তি। ভাবুন তো, এখনকার ট্রেনের বা বিমানের তুলনায় এটা অনেক সস্তা, অনেক দ্রুত এবং এমনকি আরও পরিবেশবান্ধব।

### কবে আসছে? – **২০২৫ এপ্রিল**: ১০০ কেজির প্রোটোটাইপ।

**২০২৫ শেষ নাগাদ**: ১ টনের প্রোটোটাইপ। –

**২০২৬**: পূর্ণাঙ্গ ৪ টনের সংস্করণ, যা ২০ জন যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম হবে। এই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে, এটি শুধুমাত্র যাত্রী পরিবহণেই নয়, কার্গো পরিবহণেও ব্যবহৃত হবে। সুতরাং, ব্যবসায়ীরা তাঁদের পণ্যও দ্রুত সমুদ্রপথে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠাতে পারবেন। ভবিষ্যতের দিক থেকে যদি দেখি, তাহলে এই প্রযুক্তি যদি সফল হয়, তা হলে বাকি দেশগুলিতেও এই ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা চালু হতে পারে।

সম্ভবত, **হাইড্রোজেন-ইলেকট্রিক ভার্সন** এর মাধ্যমে এটি ২০০০ কিলোমিটার অবধি যেতে পারবে, যেটা আরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম হবে। বিগত কয়েক বছরে এ ধরনের নতুন পরিবহন প্রযুক্তি যেমন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, তেমনি এটি পরিবহন খাতে একটা বিপ্লব আনতে পারে। 🚀