সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ পৃথিবীর প্রাচীন ইতিহাসে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের নিঃশব্দ ছায়া…
সিন্ধু সভ্যতার কেন্দ্র মোহেঞ্জোদাড়ো। হাজার হাজার বছর আগের এই শহর ছিল সুগঠিত, উন্নত ও পরিপাটি। ড্রেনেজ সিস্টেম, পরিকল্পিত ঘরবাড়ি, বহু স্তরবিশিষ্ট পথ, নিখুঁত নগর পরিকল্পনা — এত কিছু দেখে আজকের আধুনিক মানুষ পর্যন্ত অবাক হয়।
কিন্তু সব আশ্চর্যের কেন্দ্রে রয়েছে এক অভিশপ্ত রহস্য…
বিস্ফোরণের ছাপ:
১৯২০ সালের পর মোহেঞ্জোদাড়োর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার পর অনেক গবেষক সেখানে এমন কিছু নিদর্শন পান, যা সাধারণ ধ্বংস নয় — বরং এক ভয়ানক বিস্ফোরণের সাক্ষ্য বহন করে।
প্রাচীন সেই শহরের কিছু অংশে গলিত পাথর, গলে যাওয়া ইট, এমনকি বিকিরণযুক্ত কঙ্কাল পাওয়া যায়, যা একমাত্র অত্যন্ত তাপমাত্রার নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণেই সম্ভব।
কয়েকজন মৃতদেহ এমনভাবে পড়েছিল, যেন তারা হঠাৎ কোনও কিছু থেকে পালাতে চেয়েছিল — কিন্তু সেখানেই মুহূর্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।
রেডিয়েশন!
বিশ্বখ্যাত গবেষক ডেভিড ড্যাভেনপোর্ট ১৯৬০-এর দশকে মোহেঞ্জোদাড়ো ঘুরে এসে দাবি করেন,
“আমি এমন ধ্বংস দেখেছি কেবলমাত্র হিরোশিমা বা নাগাসাকির পর।”
তিনি খুঁজে পান কিছু ব্যাসাল্ট গ্লাস বা পাথরের গলিত চিটে, যেগুলোর গলনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা!
কিন্তু এত প্রাচীন কালে কে, কীভাবে এমন বিস্ফোরণ ঘটাল?
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল হস্তক্ষেপ?
কয়েকজন গবেষক মনে করেন, এটি হতে পারে এক প্রাচীন নিউক্লিয়ার যুদ্ধের ফল।
ভারতের মহাভারতের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ কিংবা ‘অগ্নেয়াস্ত্র’-এর বিবরণ পড়লে বোঝা যায়—তখন এমন অস্ত্রের অস্তিত্ব ছিল, যেগুলোর ক্ষমতা আধুনিক পারমাণবিক বোমার মতোই ভয়ংকর।
একজন ভারতীয় গবেষক লিখেছিলেন—
“যোদ্ধারা পুড়ে কয়লা হয়ে গিয়েছিল। খাবার দূষিত হয়েছিল। নদীর জল বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল।”
সত্যিই কি এটি প্রাচীন পারমাণবিক যুদ্ধের ছায়া?
তবে কি প্রাচীন সভ্যতাই ছিল আমাদের চেয়েও উন্নত?
এই প্রশ্নের উত্তর নেই।
কিন্তু মোহেঞ্জোদাড়োর নিঃশব্দ ধ্বংসাবশেষ যেন আজও রাতের আকাশে চিৎকার করে বলে ওঠে—
“সব হারিয়ে গেছে… তবে কিছু সত্য এখনো চাপা পড়ে আছে।”
শেষবার কেউ জানে না কবে এখানে মানুষ বসবাস করেছিল।
কিন্তু বিজ্ঞান জানে—এই শহরে কখনো এক প্রলয় এসেছিল, যেটা ছিল মানুষেরই ডেকে আনা ধ্বংস।”
তুমি কি সেই ধ্বংসের গল্প বিশ্বাস করো?
নাকি এটাও আরেকটা লুকোনো ইতিহাস, যা জানার অধিকার আমাদের কেড়ে নেওয়া হয়েছে?

More Stories
১৩ হাজার ডলারের বিনিময়ে কেনা এক টুকরো বিরানভূমি, যা পরিণত হলো প্রকৃতির স্বর্গে
কেন ব্যবহার করা হয় “ঘট” হিন্দু পূজায়?
মা দুর্গার মুখে উর্ণনাভ: মহামায়ার চিহ্ন