সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ আর মাত্র কয়েকটা দিন। শ্যামা মায়ের আগমন বার্তা ঘনিয়ে আসতেই প্রতিমা গড়ার কাজে এখন চরম ব্যস্ততা মৃৎশিল্পীদের মধ্যে। সকাল থেকে রাত — প্রায় নাওয়া-খাওয়া ভুলে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
আষাঢ় মাস থেকেই শুরু হয় প্রতিমা গড়ার কাজ। এখন সেই পর্ব প্রায় শেষের পথে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি ও নিম্নচাপের ভ্রুকুটি— সবই শিল্পীদের চিন্তার বিষয়। নির্দিষ্ট সময়ে প্যান্ডেলে প্রতিমা পৌঁছে দেওয়া যেন এখন একপ্রকার চ্যালেঞ্জ।
শিল্পীদের কথায়, “আগের থেকে এ বছর পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু মাটি সংগ্রহে প্রশাসনিক ও আইনি জটিলতায় আমাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।”
তবে প্রযুক্তির উন্নতিই এখন মৃৎশিল্পীদের সবচেয়ে বড় সহায়। বৃষ্টির দিনে তাপ দেওয়া যন্ত্রের সাহায্যে প্রতিমা শুকোনো হচ্ছে, আবার এয়ার কম্প্রেসার ব্যবহার করে স্প্রের মাধ্যমে রং করা যাচ্ছে অনেক দ্রুত ও নিখুঁতভাবে।মৃৎশিল্পী সমীর প্রত্যাহার জানান শেষ সময়েও একটি নটরাজ কালী প্রতিমার অর্ডার এসেছে। যথেষ্ট দক্ষতার সাথে এই কাজ তারা করে চলেছেন।
এই পেশার ভবিষ্যৎও তৈরি হচ্ছে ধীরে ধীরে। এক ক্ষুদে শিল্পী,রুদ্র দত্ত, বাড়ি গোঘাটের মদিনাতে, যিনি প্লাস নাইনে পড়েন, বাবার সঙ্গে প্রতিমা গড়ার কাজে হাত লাগিয়েছেন। তিনি এখন শিবঠাকুরের চোখ আঁকতে পারেন, পা তৈরি করতে পারেন, এমনকি বিভিন্ন ডিজাইন-নকশাও আঁকতে ভালোবাসেন।
প্রতিটি তুলির আঁচড়ে, প্রতিটি আঙুলের ছোঁয়ায় ধরা পড়ছে শিল্পীদের নিষ্ঠা ও ভক্তি। সময়ের সঙ্গে লড়াই করেও তাঁরা গড়ে তুলছেন দেবী কালীকে, যাঁর আগমনে আলোকিত হবে সমগ্র বাংলার প্রতিটি পাড়া ও প্যান্ডেল।

![]()

More Stories
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক — আরামবাগের সিপিআইএমের নেতা সমীর চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতায় উঠে এল সংগঠনের বাস্তবতা
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পড়ুয়া সংকটে গোঘাটের লাইব্রেরিগুলি – পাঠক টানতে উদ্যোগের খোঁজে গ্রন্থাগারগুলি
কোলাহলের মাঝেই চলছে অখণ্ড হরিনাম— হুগলির বদনগঞ্জের কয়াপাট বাজারের মন্দিরে ৪৬ বছরের ঐতিহ্য