সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: আরামবাগ শহরের অটো স্ট্যান্ড থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধা তথা মহানায়ক উত্তমকুমারের আত্মীয়কে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন তাঁর পরিজনরা। মঙ্গলবার আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে তাঁর ভাইপো রাজা মুখার্জি তাঁকে তাঁদের পান্ডুয়ার বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। সঙ্গে ছিলেন রাজাবাবুর জ্যেঠতুতো বোন সীমা ঘোষাল। রাজাবাবু একটি বেসরকারী কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি জানান, তাঁদের আদি বাড়ি খিদিরপুরে। তবে কর্মসূত্রে তাঁরা পান্ডুয়াতে থাকেন। তাঁর বাবারা তিন ভাই। ইনি বড় জেঠিমা। বছর দশেক আগে বড় জেঠু মারা যান। তাঁর এক ছেলে, বেলঘরিয়ায় থাকেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর খোঁজ নেই। বছর চারেক আগে এই বড় জেঠিমা তাঁদের পান্ডুয়ার বাড়িতে এসে মাস চারেক ছিলেন। তারপর ছেলের কাছে বেলঘড়িয়াতে ফিরে গিয়েছিলেন। তারপর তাঁদের সঙ্গে তেমনভাবে আর যোগাযোগ ছিল না। রাজাবাবু আরও জানান, উনি মহানায়ক উত্তমকুমারের ভাগ্নি। ওনার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে অভিনেত্রী মৌসুমী চ্যাটার্জীর বোনের বিয়ে হয়েছে। ওনার বড় ভাই খুব নামি চিকিৎসক। উনি নিজে বেথুন কলেজের ছাত্রী ছিলেন। মাস্টার ডিগ্রী করেছেন। পাশাপাশি রবীন্দ্রসঙ্গীতে ফার্স্ট ক্লাস ডিপ্লোমা রয়েছে। রাজাবাবু বলেন, জেঠিমা যে এরকম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আমরা কেউই জানতাম না। আরামবাগ থানা থেকে শনিবার খিদিরপুরের ওয়াটগঞ্জ থানায় ফোন করা হয়েছিল। এরপর ওয়াটগঞ্জ থানা থেকে আমাদের খিদিরপুরের বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয়। এরপরই আমরা আরামবাগ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করি। এদিন জেঠিমাকে নিয়ে যাচ্ছি। ওনাকে আমাদের পান্ডুয়ার বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করাব। ভাইঝি সীমা ঘোষাল বলেন, জেঠিমাকে ফিরে পেয়ে আমরা ভীষণ খুশি। উনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন। তবে এখনও অনেক কথাই মনে পড়ছে। উনি ওনার ছেলের কাছে যে প্রথমে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু পরে আমাদেরকে দেখে চিনতে পেরে আমাদের কাছেই যেতে চাইছেন। আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষ আমাদেরকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছেন। ওনার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। উল্লেখ্য, ১৭ নভেম্বর রাতে আরামবাগ অটোস্ট্যান্ডে ওই বৃদ্ধাকে অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয় অটোচালকেরা পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন আরামবাগ পুর প্রশাসক স্বপন নন্দী ও অন্যান্য তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তিনি তখন মহানায়ক উত্তমকুমারের সঙ্গে তাঁদের আত্মীয়তার কথা জানিয়েছিলেন। এরপরই পুলিশ তাঁর পরিচয় খুঁজে বের করতে উদ্যোগী হয়। তবে তিনি কীভাবে আরামবাগে চলে এসেছিলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়।
More Stories
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন
দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে মৃত ১৩, নিখোঁজ ১
কালীঘাটে বিজয়া সম্মিলনীতে মমতা–অভিষেক