সোমালিয়া সংবাদ: শনিবার থেকেই সারা দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেল করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে প্রথম শ্রেণীর করোনা যোদ্ধাদের। ধাপে ধাপে অন্যান্য করোনা যোদ্ধাদের পাশাপাশি পরবর্তীকালে সাধারণ মানুষকেও এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিন নিয়ে দেশের বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক মহল যথেষ্ট আশাবাদী।
এদিকে নরওয়েতে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন দেওয়ার পর প্রায় ৩০ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। মৃতদের সকলেরই বয়স ৮০ বছরের বেশি। এছাড়াও অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। নরওয়েতে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তার নাম ফাইজার। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নরওয়েতে এই টিকাকরন শুরু হয়েছে। তবে যাদের মৃত্যু ঘটেছে সত্যিই টিকাকরণের ফলে তাদের মৃত্যু ঘটেছে নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারণ আছে তাও খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অসুস্থ ও বয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। জানা গেছে মৃতদের মধ্যে ১৩ জনের শরীরে ডায়েরিয়া, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ ছিল। যা এই ফাইজার ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষণ। মৃতদের ছাড়াও আরও ৯ জনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তাদের মধ্যে এলার্জির লক্ষণও ধরা পড়েছে। কারও কারও জ্বর হয়েছে। তাই নরওয়ে সরকারের পক্ষ থেকে অতি বয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সর্তকতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ফাইজারও যথেষ্ট সর্তকতা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই তারা প্রতিবছর ২০০ কোটি ডোজের বদলে ১৩০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহের সংখ্যা তারা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত নরওয়েতে ৩০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
More Stories
আমেরিকার শাটডাউন ও তার ছায়া: ভারতীয় অর্থনীতি ও প্রবাসীদের জন্য কী বার্তা?
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ দিলেন নেপালের সুশীলা কার্কি
হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতু