October 6, 2025

প্রশাসনিক  আধিকারিকদের অনুরোধে গোঘাটে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দাবিতে আটদিন ধরে চলা আমরণ অনশন প্রত্যাহার করে নিলেন গ্রামবাসীরা

সোমালিয়া সংবাদ, গোঘাট: উপস্বাস্থ্য তৈরির দাবিতে গোঘাটের ছিলামপুর মোড়ে  আট দিন ধরে চলা গ্রামবাসীদের আমরণ অনশন উঠে গেল। বুধবার সকালে প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তিদের অনুরোধে গ্রামবাসীর অনশন তুলে নিলেন। গোঘাট-১ নম্বর বিডিও সুরশ্রী পাল, গোঘাট থানার ওসি শৈলেন্দ্র উপাধ্যায়, গোঘাট বি এম ও এইচ সব্যসাচী রায় এদিন অনশন মঞ্চে গিয়ে গ্রামবাসীদের লেবুর রস পান করিয়ে অনশন প্রত্যাহার করান।  উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র অন্যত্র সরিয়ে না নিয়ে যাওয়ার দাবিতে ২৫মে থেকে গ্রামবাসীরা এই অনশনে সামিল হয়েছিলেন। আমরণ অনশনে অংশ নিয়েছিলেন ন’জন গ্রামবাসী। উল্লেখ্য, স্থানীয় কুমুড়সা  গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র বের হয়েছিল। প্রথমে সেটি অনেক দূরে কানপুর গ্রামের এক প্রান্তে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু যেহেতু চারটি গ্রামের জন্য এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র তাই সেটি মাঝামাঝি জায়গায় করার কথা গ্রামবাসীরা বলেন। তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল গ্রামের মানুষ যদি জায়গা দেন তাহলে সেখানেই গড়ে উঠবে। তখন কুমুড়সা গ্রামের দুই চাষি কালীপদ সরকার ও শ‍্যামাপদ সরকার তাঁদের ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৫ শতক জায়গা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য লিখে দেন। তারপর ওই জয়গাতেই অস্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যপরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কোন এক অদৃশ্য কারণে হঠাৎই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁরা নাকি জানতে পারেন ওই জায়গায় উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র হবে না। কানপুর গ্রামেই তা হচ্ছে। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, এই জায়গাটি চারটি গ্রামের একেবারে মাঝখানে। পাকা রাস্তার ধারে। চার হাজার মানুষ সুন্দরভাবে পরিষেবা পাবেন। তাহলে কেন তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ওই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র যাতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া না হয় সেই দাবি নিয়ে গ্রামবাসীরা  চাষিদের দান করা জমির উপর রীতিমতো তাঁবু খাটিয়ে আমরণ অনশন বসেন। তারপর থেকেই প্রশাসনের বিভিন্ন মহল থেকে তাঁদেরকে অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এতদিন তাঁরা অনড়  ছিলেন। তবে এদিন তাঁরা প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে অনশন প্রত্যাহার করে নেন। এ বিষয়ে অনশনকারী ইয়াসিন খান জানান, প্রশাসন সবসময় গ্রামবাসীদের পাশে রয়েছে। তাই তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছায় আমরা অনশন তুলে নিলাম। গ্রামবাসীদের দান করা ওই জমিতে সজল ধারা প্রকল্প যাতে হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Loading