October 5, 2025

অসুস্থ যাত্রাশিল্পীর সমস্ত দায়িত্ব নিল আরামবাগ পুরসভা

সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: গোঘাটের কামারপুকুরের অসুস্থ যাত্রাশিল্পী রমা মুখার্জিকে শুক্রবার নিয়ে যাওয়া হল আরামবাগের ভবঘুরে ভবনে। এবার থেকে তিনি ওখানেই থাকবেন। আরামবাগ পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁর থাকা ও খাওয়ার সমস্ত দায়িত্বভার গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরামবাগ পুরপ্রধান সমীর ভান্ডারী জানান, উনি একসময় নামি যাত্রাশিল্পী ছিলেন। বর্তমানে খুব অসহায় অবস্থার মধ্য দিয়ে চলেছেন। বাড়িঘর হারিয়েছেন। আত্মীয়-পরিজনরাও ত‍্যাগ করেছেন। তাই ওনার সমস্ত দায়-দায়িত্ব এখন থেকে পুরসভা গ্রহণ করবে। এদিন রমাদেবীকে আরামবাগ ভবঘুরে ভবনে নিয়ে যান গোঘাট দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারি, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন। ওখানে উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ পুরপ্রধান সমীর ভান্ডারী, উপপ্রধান মমতা মুখার্জি সহ অন্যান্যরা। উল্লেখ্য, অসুস্থ রমাদেবীকে রাস্তা থেকে তুলে এনে নিজের মায়ের পরিচয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন তৃণমূল নেতা সৈয়দ মকবুল হোসেন। তিনি গোঘাট দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ।  রমাদেবী একসময়  কলকাতার নামি দামি অপেরাতে দাপিয়ে অভিনয় করেছেন। পরবর্তীকালে কামারপুকুরের বিভিন্ন যাত্রাদলেও অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। রমাদেবীর বাপের বাড়ি হুগলির হরিপাল থানার গোপীনগর এলাকায়। বাবা বিভূতি ভুষণ ঘোষের হাত ধরে তিনি কলকাতার চিৎপুরে যাত্রাদলে অভিনয়ের কাজ শুরু করেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় পঞ্চানন মুখার্জির। পরবর্তী সময়ে তাঁকে ভালবেসে বিয়ে করে চলে আসেন গোঘাটের রঘুবাটী গ্রাম পঞ্চায়েতের খাটগ্রামে।  বছর চারেক আগে পঞ্চননবাবুর মৃত্যু হয়। তিনি জানিয়েছেন, তারপরেই পঞ্চাননবাবুর প্রথম পক্ষের ছেলেরা ওই বাড়ি বিক্রি করে দেন। তারপর থেকে ভিক্ষাবৃত্তি করেই তাঁর জীবন কাটছিল। সম্প্রতি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। স্থানীয় ব্যবসাদারদের কাছ থেকে সেই খবর পান কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাঁকে উদ্ধার করে কামারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনিই বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে আরামবাগ ভবঘুরে ভবনে রমাদেবীর থাকার ব্যবস্থা করেন। এ ব্যাপারে সব রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আরামবাগ পুরসভা।

Loading