October 5, 2025

বন্যার জলের ভরসাতেই পাট চাষ, বন্যা চাইছেন গোঘাটের পাট চাষিরা

সোমালিয়া সংবাদ, গোঘাট: প্রবল বৃষ্টি বা বন্যার আশাতেই পাট চাষ করে থাকেন গোঘাটের বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু এবছর বন্যা তো দূরের কথা, বৃষ্টিও তেমন ভাবে দেখা মিলছে না। তাই চরম হতাশ তাঁরা। কিভাবে জমি থেকে পাট আদায় করে ঘরে তুলবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। উল্লেখ্য,  দ্বারকেশ্বর নদের তীরে অবস্থিত এই বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রামের চাষিরা এই সময় পাট চাষ করে থাকেন। প্রায় প্রতি বছরই এই সময় ছোট-বড় বন্যা লেগে থাকে। বন্যা না হলেও বাঁকুড়া সহ জঙ্গলমহল এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হলেই সেই জল বিভিন্ন খাল ও ছোট ছোট নদীর মধ্য দিয়ে গোঘাটের এই অঞ্চলে এসে পৌঁছয়। আর সেই জমা জলে পাট কেটে ভেজান চাষিরা। তারপর সেখান থেকে পাট আদায় করে বাড়িতে তোলেন স্থানীয় দামোদরপুর গ্রামের সুবল বেরা, দুঃখীরাম মন্ডল প্রমূখ চাষিরা জানালেন, এখানে কমপক্ষে ১০০ বিঘা জমিতে পাট চাষ হয়ে থাকে। কারণ বন্যা কবলিত এলাকায় এর থেকে অন্য ফসল ভালো হয় না। জলের জন্য কোন বছরই অসুবিধাও হয় না। কিন্তু এবছর বৃষ্টির প্রায় দেখাই নেই। ফলে নিচু এলাকা হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন জলা এলাকাও শুকিয়ে গেছে। এই সমস্ত চাষিরা জানালেন, অথচ সময়ে পাট না কাটলে জোরে বাতাস বইলেই গাছ মাটিতে পড়ে যাবে। ফলে নষ্ট হয়ে যাবে গাছ। তাই জল না থাকলেও সময়ে পাট কাটতে হয়। তাই অনেকেই বিনা জলেই পাট কাটতে বাধ্য হচ্ছেন। আর সেই কাটা পাট মাথায় করে দূরবর্তী পুকুরেতে গিয়ে ভেজাচ্ছেন। এর ফলে মজুর খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। চাষ থেকে লাভও তেমন কিছু থাকবে না। অনেকে আবার এখনও বৃষ্টি ও বন্যার জন্য অপেক্ষা করছেন। কারণ এভাবে দূরে বয়ে নিয়ে গিয়ে পাট তুললে লাভের থেকে ক্ষতি হবে। এখন তাই তাঁরা বৃষ্টি ও বন্যার অপেক্ষায়  আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন 

Loading