October 6, 2025

বিরল রোগে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে কাতর আবেদন দিনমজুর বাবা-মায়ের

সোমালিয়া সংবাদ, পুরশুড়া: প্রাণঘাতী বিরল রোগে ভুগছে মাত্র ছ বছরের ফুটফুটে বাচ্চা সৌম্যদীপ। আর তাকে সুস্থ করে তুলতে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন দিনমজুর দম্পতি। কোথায় গেলে কিভাবে সাহায্য পাওয়া যাবে, ছেলেকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা যাবে তা ভেবেই একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা। ঘটনাটি পুরশুড়ার ধাপধাড়া গ্রামের। সৌমদীপের বাবা সুজয় খাঁ দিনমজুরি করে কোন রকমে সংসার চালান। কিন্তু  মাস ছয়েক আগে হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সৌম্যদীপ। তার নাক, মুখ ও মলদ্বার দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। তড়িঘড়ি তাকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেদিনই সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে রেফার করে দেন। সেখানে জরুরীকালীন ভিত্তিতে এমারজেন্সি ওয়ার্ডে দু’দিন তার চিকিৎসা হয়। তারপর ১৭ দিন আইসিইউতে রেখে চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে সৌম্যদীপ। সেখানকার চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় সে যাত্রায় কোনরকমে রক্ষা পায় সৌম্যদীপ। বর্তমানে কলকাতা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা সৌম্যদীপের চিকিৎসা করছেন। তাকে নিয়মিত রক্ত দিতে হচ্ছে। বর্ধমান ও কলকাতা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সৌম্যদীপের শরীরে বড় রকম সমস্যা রয়েছে। ডাক্তারি পরিভাষায় প্লেটলেট ফাংশান ডিসঅর্ডার। অর্থাৎ সৌম্যদীপকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে হলে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন হতে পারে। যার ভালো ব্যবস্থা আছে মুম্বাইয়ের  টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালে। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার। আর যদি বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন না হয় তাহলেও প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে। একথা শুনে স্বভাবতই দিনমজুর দম্পতি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কারণ বর্ধমান এবং কলকাতায় চিকিৎসা চালাতেই তাঁরা একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। প্রায় দু’লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়ে গেছে। বাড়িতে যা কিছু ছিল সব শেষ হয়ে গেছে। তাঁরা সহৃদয় মানুষদের কাছে আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরর কাছেও সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের আশা, সবাই যদি পাশে দাঁড়ান তাহলে তাঁদের ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারবেন। 

যোগাযোগ: ৯০৮৩৬৫৩৬৩২

Loading