বিজেপির মিছিলে হামলার প্রতিবাদে পথ অবরোধ বিজেপির

সোমালিয়া সংবাদ, হুগলি: চুঁচুড়ায় তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র উত্তাল পরিস্থিতি জেলা জুড়ে। লাঠি হাতে তৃণমূল বিধায়কের মারধরের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন বিজেপির। এদিন চন্দননগর বিধানসভার উত্তর চন্দননগর মন্ডলের পক্ষ থেকে তালডাঙ্গা মোড়ে সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বিজেপি পথ অবরোধ করে। এই কর্মসূচি চলাকালীন পুলিশ আসলে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় বেশ কিছুক্ষণ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চুঁচুড়ায় বিজেপির মিছিলে হামলার পর গুরুতর আহত হন বিজেপি হুগলির সংগঠনের সহ সভাপতি রাজীব নাগ। তিনি চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার হুগলি জেলা সহ অন্যান্য জেলাতে বিজেপির সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। সেই মতো আন্দোলন শুরু করে বিজেপি। তবে চুঁচুড়ায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ চারজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে এবং তাঁদের এদিন কোর্টে তোলা হয়। এই বিষয়ে এক বিজেপি কর্মী জানান,
পুলিশ আমাদের মিথ্যে কেস দিয়ে গ্রেফতার করেছে। বিধায়ককে মারধর করা হয়নি। এটা বিজেপির শিষ্টাচারের বিরুদ্ধে। অপরদিকে বিজেপি রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ বলেন, বিধায়ক নিজে মারলেন তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হল না। যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে থানায়। বিজেপি কর্মীরা থানায় অভিযোগ জানাতে এলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। যেভাবে বিজেপি কর্মীদের মারা হয়েছে কারুর কিছু ঘটে গেলে তার দায় বিধায়কের ওপরেই যাবে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে। এই বিষয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার জানান, বিধানসভার স্টান্ডিং কমিটির মিটিং থেকে ফিরছিলাম। সেই সময় আমার গাড়ি আটকে হেনস্থা করা হয়। ফেরার পথে ২০-২৫ টা লোক তপন চোর, অসিত চোর, পিসি চোর, ভাইপো চোর, তৃণমূলে সব চোর চোর বলে স্লোগান দিতে থাকে। খাদিনা মোড়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে সেসময় মিটিং চলছিল। বিধায়ককে আক্রান্ত হতে দেখে মহিলা তৃণমূল কর্মীরা বেরিয়ে পরেন এবং মহিলারাই বিজেপি কর্মীদের এলাকা থেকে চলে যেতে বলেন। তবে পুলিশের আশ্বাসে কিছুক্ষণ পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা।