সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: ওরা প্রবাসী বাঙালি। কলকাতা থেকে প্রায় পনেরো হাজার কিলোমিটার দূরে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ার বাস করেন। পেশায় কেউ ডাক্তার, কেউবা আইটি সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত, কেউ আবার ইঞ্জিনিয়ার বা বৈজ্ঞানিক। প্রত্যেকেই আমেরিকার বিভিন্ন প্রেস্টিজিয়াস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত এবং যথেষ্ট সম্মানীয় ব্যক্তি। প্রবাসী হলেও দুর্গাপুজোর আকর্ষণ ওরা ভুলতে পারে না। পুজো এলেই ওদের মন ছটফট করে। দূরত্বের কারণে আসব বললেই আসা যায় না। বিকল্পের খোঁজে বছর সাতেক আগে সাড়ে চার শতাধিক বাঙালি পরিবারের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় দুর্গাপুজো। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে সেটা চলে আসছে।
প্রবাসে হলেও পুজোর আয়োজনের কোনো ঘাটতি থাকে না। সুন্দর করে সাজানো হয় মণ্ডপ। প্রবল উৎসাহে তাতে প্রত্যেকেই হাত লাগায়। অন্যত্র চারদিন হলেও এখানে পুজো হয় দু’দিন। হয়তো বিদেশে চরম ব্যস্ততার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অথবা ভারতের সঙ্গে সময়ের পার্থক্য একটা কারণ হতে পারে। যদিও এবিষয়ে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। প্রথম দিন হয় সপ্তমী ও অষ্টমীর পুজো। সকাল থেকেই শুরু হয় তোড়জোড়। পুজোর জোগাড় করতে বড়রা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। পুরোহিতের উপস্থিতিতে আনা হয় ঘট। একেবারে রীতি মেনে পুজো হয়। পরের দিন হয় নবমী ও দশমীর পুজো। পুজোর সময় কলকাতা থেকে কোনো সঙ্গীত শিল্পী ওখানে যান এবং ওখানকার প্রবাসী বাঙালিদের তারা সঙ্গীতের মাধ্যমে আনন্দ দেন। যেমন এবার গিয়েছিলেন অন্বেষা।
![]()

More Stories
বিদ্যুতের খুঁটি নয়, শিল্পকর্ম! অস্ট্রিয়ার নয়া উদ্ভাবনে বিশ্ব স্তম্ভিত
জোহানেসবার্গে জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনে মোদীর ছ’দফা নয়া উদ্যোগ
অশ্বিনীর বরিশাল