সোমালিয়া সংবাদ, খানাকুল: ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভোটে দাঁড়ালে হারবেন। আর তাই তিনি নাকি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াতে চাইছেন। কিন্তু নন্দীগ্রামে দাঁড়ালেও তাঁর জয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। এমনই তোপ দাগলেন বিজেপি নেত্রী মাফুজা খাতুন। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি খানাকুলের জয়রামপুরে এক জনসভায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন। তিনি বলেন, টিউটর প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, আমি নন্দীগ্রামে দাঁড়াব। তার মানে উনি ভবানীপুরে জিততে পারবেন না। আসলে উনি ভয় পেয়েছেন। তাই আমি একটা শ্লোগান বলব, জেনে গেছে বাংলার জনতা, ভয় পেয়েছে মমতা। ভয় পেয়েই উনি ভবানীপুর থেকে চলে যেতে চাইছেন নন্দীগ্রামে। যেদিনই মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন সেদিনই শুভেন্দু অধিকারী বলে দিয়েছেন, মাননীয়া নন্দীগ্রামে আপনাকে ওয়েলকাম। এখানে আপনি ভোটে দাঁড়ালে আপনাকে দাঁড়িয়েই থাকতে হবে। আপনি আর কখনও বসতে পারবেন না। শুভেন্দুবাবু বলে দিয়েছেন পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ভোটে মুখ্যমন্ত্রীকে হারাবেন। মাফুজা খাতুন এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি ভবানীপুর থেকেই দাঁড়ান আর নন্দীগ্রামেই দাঁড়ান, বা যে কোন আসন থেকেই দাঁড়ান, বিজেপি কর্মী সমর্থকরা আপনাকে হারিয়ে দেবে। মাফুজা বলেন, এবার বাংলা, পারলে সামলা। ভবানীপুর থেকে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী কেন যেতে চাইছেন তা নিয়েও রীতিমতো ব্যাখ্যা দেন মাফুজা। তিনি বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে যে ফলাফল দেখা গেছে সেখানে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় তৃণমূল মাত্র ৩১৬৮ টা ভোটে এগিয়ে রয়েছে। তারপরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। প্রচুর মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন । গল্প আরও আছে। ওখানে মুখ্যমন্ত্রীর যে বুথ, যে বুথে তিনি ভোট দেন, সেই বুথে মুখ্যমন্ত্রী কত ভোটে হেরে আছে জানেন? ৪৯৬ ভোটে হেরেছেন। মাফুজা প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ১০০ শতাংশ কাজ করেছেন। তাহলে কেন ওই বুথে ভারতীয় জনতা পার্টি এগিয়ে রয়েছে? তিনি বলেন, উনি নিজের বুথেই জিততে পারেননি। ওনার বুথ নম্বর ৭৩ নম্বর বুথ। এই নম্বরে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে সার্চ করলেই দেখতে পাবেন। মাফুজা এদিন বলেন, তৃণমূল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভোটের জন্য ব্যবহার করছে। আদতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই সংখ্যালঘুদের জন্য ভেবেছেন। তিনি তিন তালাক বন্ধ করে মুসলিম মহিলাদের নিরাপত্তা প্রদান করেছেন। বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক বলার বিরুদ্ধেও এদিন মাফুজা সোচ্চার হন। তিনি বলেন, অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রেলমন্ত্রী ছিলেন। তখন বিজেপির সাথে সংসার করেছিলেন। আজ ডিভোর্স হয়ে গেছে বলে বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক বলছেন। আসলে বিজেপি যে মানুষের পাশে আছে, উন্নয়নের সাথে আছে তা মানুষ বুঝে গেছে। উল্লেখ্য, এদিন খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের নতিবপুর দু’নম্বর অঞ্চলের জয়রামপুরে কৃষি আইনের সমর্থনে বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
![]()

More Stories
পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের ডাক ব্রিগেডে, রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ সনাতন সংস্কৃতি সংসদের
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইভিএম–ভিভিপ্যাটের এফএলসি শুরু রাজ্যে, চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
হাতুড়ে ডাক্তারি বনাম পাশ করা ডাক্তার—অরাজকতার জঞ্জালে বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা