সোমালিয়া সংবাদ, গুড়াপ: নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের কড়া জবাব দিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার হুগলির গুড়াপের জনসভা থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সবে খেলা শুরু হয়েছে। খেলা এখনও বাকি আছে। আমরা ভাল খেলতে পারি। শাসক দল ভয় পেয়ে গেছে। গলা কাঁপছে। এত ব্যাক্তিগত কুরুচিকর আক্রমণ করার দরকার নেই। দিনের পর দিন অন্য জনপ্রতিনিধিদের নিজের দলে যোগদান করিয়েছেন। তারা তখন গদ্দার হয়নি। তারা তখন মির্জাফর হয়নি। তখন বলেছে উন্নয়নের জন্য এসেছে। আমরা দেখছি যে কাজ হয়নি। তা যদি বিজেপিতে গিয়ে করা যায় তাহলে মির্জাফর হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আমি কোনোদিন কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমন করিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বন সহায়ক নিয়োগে দূনীতি হয়েছে, তদন্ত হবে। তার জবাবে রাজীব বলেন, বীরভূমের এক নেতা বলেছিলেন, সব তার লোককে দিতে হবে। ৮ অক্টোবর ৯.৫৮ মেসেজের কপি রয়েছে।মাননীয়াকে জানিয়ে দিতে চাই, কোন্ নেতা-মন্ত্রীরা, কালিঘাট থেকে কোন্ সুপারিশ এসেছে। আপনি কেঁচো খুঁঁড়তে কেউটে বের করছেন। আলিপুরদুয়ারের সভাপতির কাছ থেকে জেনে নিন। সেও সুপারিশ করেছিল। সব তথ্য আমার কাছে আছে। আপনি বনসহায়কের প্যানেল বাতিল করে দিন। তাহলে দুধ কা দুধ পানি, পানি কা পানি হয়ে যাবে। বিগত দিনে যে চুক্তিভিত্তিক চাকরি হয়েছে, এমনকি আমার পুরোনো দপ্তরের নিয়োগ নিয়ে কোথা থেকে সুপারিশ এসেছে, যত চুক্তি ভিত্তিক চাকরি হয়েছে সব কটার তদন্ত হোক।আমি যদি মুখ খুলি তাহলে সমুদ্র নড়ে যেতে পারে।শুধু বট গাছের পাতা পড়বে না। রাজীব বলেন,রাজনীতি হল রাজার নীতি। মানুষের জন্য কাজ করব বলে সব সময় চেষ্টা করেছিলাম।মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিই, নভেম্বরে বনসহায়ক পদে নিয়োগ হয়েছে। তাহলে যদি দুর্নীতি করে থাকি তাহলে আমাকে কেন তাড়িয়ে দেননি। আমি ছেড়ে দিয়েছি। আমি সব ফোনে রেকর্ড করে রেখেছি। কাকে দিয়ে ফোন করিয়েছেন দলে রাখার জন্য। আমি ভাবছিলাম এত কিছু বলব না। কিন্তু আপনি পেন্ডুলাম খুলেছেন, শুনতে তো হবেই। আলু সিন্ডিকেটের সঙ্গে কারা যুক্ত আছে। চারিদিকে কিষান মান্ডি তৈরী হয়েছে। কটা কাজ করছে? জনগনের টাকা এইভাবে নয়ছয় করছে। এখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। এটা ভাঁওতা কার্ড।চলে যান হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে।কোনো চিকিৎসা পাবেন না। একটাও শিল্প হয়নি। বড় বড় শিল্প সম্মেলন করেছেন। বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে বেকারদের চাকরি দেবে। আমি শুভেন্দুদা, প্রবীরদারা বিজেপিতে এসেছি। ওখানে কাজ করতে পারছিলাম না। কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়তে হবে। তৃনমূলকে বিদায় দিতে হবে। চলুন পাল্টাই। ওরা আপনাকে ভয় দেখাবে। ধমকানো চমকানো শুরু করেছে। চুপচাপ পদ্মছাপ।
More Stories
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন
দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে মৃত ১৩, নিখোঁজ ১
কালীঘাটে বিজয়া সম্মিলনীতে মমতা–অভিষেক