সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: একটা সময় দোল উৎসব বলতে রঙের বালতি ও হাতে পিচকারি নিয়ে ছুটে যেত বাচ্চারা। পরনে থাকত পুরনো ছেঁড়া জামা। বালতিতে জলে গোলা রঙ পিচকারির সাহায্যে ছুড়ে দেওয়া হতো অনিচ্ছুক পথচারীর দিকে। কোথাও কোথাও আবার বেলুনে রঙ ভরে অথবা বাড়ির ছাদ থেকে পথচারীর উদ্দেশ্যে রঙ ছোড়া হতো। আরও অনেক ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করা হতো।এতে মিলন উৎসবের পরিবর্তে থাকত বর্বর উল্লাস। দোল উৎসব হয়ে উঠত আতঙ্কের উৎসব। ব্যতিক্রম ছিল শান্তিনিকেতনের দোল উৎসব। সেখানে আবির খেলা হয়।ধীরে ধীরে দোলের সময় শান্তিনিকেতনের ভাবনা রাজ্যজুড়ে বিস্তার লাভ করে। গোলা রঙ ও পিচকারির পরিবর্তে হাতে উঠে আসে আবির। ছেঁড়া বা পুরনো জামার পরিবর্তে মহিলাদের পরনে স্থান পায় হলুদ শাড়ি ও ছেলেদের হলুদ পাঞ্জাবি ও চুড়িদার। সঙ্গে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। কচিকাঁচারা থাকে মূল শিল্পী।গত কয়েকবছর ধরে গুসকরা ছন্নছাড়া ক্লাবের উদ্যোগে শহরের সাংস্কৃতিক পীঠস্থান বারোয়ারি তলায় এইভাবেই পালিত হয়ে আসছে দোল উৎসব। স্বয়ং পুরসভার চেয়ারম্যান যে ক্লাবের সম্পাদক সেখানে ভিড় ও প্রাণের আবেগ তো থাকবেই। শুধু কাউন্সিলাররা নন সাধারণ মানুষও তাদের বাচ্চাদের নিয়ে হাজির হয়ে যান বারোয়ারি তলায়। তার আগে অবশ্য বিদ্যাসাগর হল থেকে নৃত্য ও গীতের তালে তালে ঐসব বাচ্চা ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে একটি সুসজ্জিত পদযাত্রা শহরের কিছুটা অংশ পরিক্রমা করে। যেহেতু গোলা রঙের ভয় ছিলনা তাই সেই পদযাত্রা দ্যাখার জন্য রাস্তার দু’পাশে ভিড় হয় যথেষ্ট।পদযাত্রা বারোয়ারি তলায় পৌঁছালে সেখানে উপস্থিত দর্শকরা তাদের স্বাগত জানায়। তারপর সেখানে নৃত্য, গীত ও পরস্পরকে আবির মাখানোর মধ্যে দিয়ে মহাসমারোহে দোল উৎসব পালিত হয়। এরমধ্যেই পাওয়া যায় সত্যিকারের প্রাণের স্পর্শ।
More Stories
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন
দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে মৃত ১৩, নিখোঁজ ১
কালীঘাটে বিজয়া সম্মিলনীতে মমতা–অভিষেক