সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: বড়ই্ বিচিত্র পৃথিবীর প্রকৃতি। এর জল-স্থলে আর আকাশে লুকিয়ে আছে অপার সব বিষ্ময়। যার কোন শেষ নেই। এমনই এক বিষ্ময়ের নাম ব্লু হোল বা নীল গহ্বর। একটি নীল গহ্বর হলো এক ধরনের বিশাল সামুদ্রিক গুহা বা সিঙ্কহোল। যার উপরিভাগ খোলা ও বৃত্তাকার। চারিদিক ঘিরে থাকে প্রবাল প্রাচীর। আর খাড়াভাবে অনেক গভীর। বিশ শতকের শেষ দিকে সৌখিন ডুবুরি দল আর মাছ শিকারীরা প্রথম এই নীল গহ্বরের খোঁজ দেন পৃথিবীর মানুষকে। বড়ই রহস্যময় এই নীল গহ্বর। প্রাগৈতিহাসিক কালে তৈরি এসব প্রাকৃতিক বিস্ময়ের রহস্যভেদ অবশ্য করেছে মানুষ। অদম্য কৌতুহল, দুর্দমনীয় সাহস আর অভিযানের নেশা মানুষকে বারবার নিয়ে গেছে দুর্ভেদ্য অরণ্যে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। খুঁজে পেয়েছে আরও একটি নীল গহ্বর। তবে মানুষ যতই রহস্যভেদ করুক, প্রকৃতির খেয়ালের সামনে তার বিস্ময়ের ঘারে কাটে না। রূপের মধ্যে তাই চলতেই থাকে অরূপের সন্ধান।সেই ধারায় এবার বিজ্ঞানী ও গবেষক দল আবিস্কার করলেন পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নীল গহ্বর। বলা হচ্ছে এই আবিস্কার ভিনগ্রহের জীবন সম্পর্কে একটি বিশাল জ্ঞান ‘শূন্যতা’ পূরণ করতে সহায়ক হবে। বিজ্ঞানীদের এই আবিস্কার দারুণ করে বিষ্মিত করেছে। তারা মনে করছেন, মেক্সিকো উপকূলে এই নীল গহ্বর পথ দেখাবে অন্য গ্রহে বসবাসের উপায় খুঁজতে।
ব্লু হোল বা নীল গহ্বরকে আদর করে বলা হয় সমুদ্রের নীলকান্তমণি। মেক্সিকোর নীল গহ্বরটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিলো ২০২১ সালেই। কিন্তু সেটি নথিভুক্ত হয়েছে সম্প্রতি। বৈজ্ঞানিক জার্নাল ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেরিন সায়েন্সে নথিভুক্ত করা হয়েছে সবশেষ এই নীলকান্তমণিকে। মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপের উপকূল ঘেষেই এই বিশাল গহ্বরের খোঁজ মিলেছে। সমুদ্রের নীচে এই বিশাল গহ্বরটির আয়তন এক লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গফুট। আর গভীরতা ৯০০ ফুট। চেতুমাল উপসাগরের বুকে খোঁজ পাওয়া এই সামুদ্রিক গুহাই এখন বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ‘নীল গহ্বর’।
More Stories
আলকুশি
শিশুর বিকাশে সংগীত শিক্ষা অপরিহার্য: গবেষণা জানাচ্ছে নতুন দিগন্তের কথা
চাঁদের পূর্ণগ্রহণ আজ : আকাশজুড়ে ‘রক্তচাঁদ’-এর বিরল দৃশ্য