সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: মোদীর সভা থেকে ফিরে সোমবার রাতে খানাকুল থানা এলাকার ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিলখাঁ গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়ার পাশাপাশি বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠলো বিজেপির বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুল-১ নম্বর ব্লকের ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিমপাড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, সোমবার হুগলির ডানলপে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা ছিল। সেই সভা থেকে ফেরার পর বিজেপির কর্মীরাই এই কাজ করেছে। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা দেখেন, তাঁদের লাগানো দলীয় পতাকাগুলি রাস্তায় ছেঁড়া পড়ে রয়েছে। লোহার রড দিয়ে তৈরি শহিদ বেদি ও দন্ডটি ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়েছে। একটি মাচাতে তৃণমূল কর্মীরা বসতেন। সেই মাচার উপর থাকা ত্রিপলের ছাউনিটিও ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। দুটি কৌটো বোমাও পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খানাকুল থানার পুলিশ। তারা দুটি বোমা উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হায়দার আলি। তিনি বলেন, রাতেই এলাকার মানুষ বোমার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। বোমার শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে। কিন্তু এই সমস্ত জিনিসপত্রে যে ভাঙচুর চালিয়েছে তখন বুঝতে পারেননি। সকালে উঠে দলের কর্মী-সমর্থকরা এসব দেখতে পান। তিনি আরও বলেন, এলাকাকে উত্তপ্ত করতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। এলাকার ক্ষমতা দখল করার জন্য রাতের অন্ধকারে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। কিন্তু গত দশ বছর ধরে রাজ্যজুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যা উন্নয়ন করেছেন এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি আবারও তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন। নির্বাচনে বিজেপির এইসব দুষ্কর্মের যোগ্য জবাব দিয়ে দেবেন জনগণ। যদিও দলের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কেউ যুক্ত নয়। এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই ঘটেছে। বিজেপি কর্মী- সমর্থকদের উপর মিথ্যা কেস দেওয়ার জন্য এখন নাটক করছে।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি