সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: হাতে আর মাত্র কয়েকটি দিন, তারপরই উদ্বোধন হয়ে যাবে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত অযোধ্যার রাম মন্দিরের। দীর্ঘ কয়েক দশকের আন্দোলনের পর অবশেষে রামভক্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই মন্দির পাচ্ছেন। যে কারণে এই মন্দিরকে নিয়ে এখন উৎসাহ আবেগের শেষ নেই। আবেগ থেকেই কেউ রাম মন্দিরের জন্য বিশাল তালা তৈরি করেছেন, কেউ আবার কয়েকশো কিলোমিটার হেঁটে অযোধ্যা পৌঁছানোর জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছেন। এসবের মধ্যেই এবার একটি ১০৮ ফুটের ধূপকাঠির খবর পাওয়া গেল।রাম মন্দিরে জ্বালানোর জন্য গুজরাতের ভাদোদরায় একটি ১০৮ ফুটের ধূপকাঠি তৈরি করা হচ্ছে। এই ধূপকাঠি রাম মন্দির উদ্বোধন এবং রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন রাম মন্দিরে জ্বালানো হবে। বিশেষ প্রটোকল মেনে একটি গাড়িতে করে এই ধূপকাঠি নিয়ে যাওয়া হবে রাম মন্দিরে। ১০৮ ফুটের এই ধূপকাঠিকে ঘিরে এখন রাম মন্দিরের মতোই কৌতুহল জাগছে ভক্তদের মধ্যে।১০৮ ফুটের ধুপ উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে? গুজরাতের ভাদোদরার তারসাইল এলাকার বাসিন্দা বিহাভাই কার্যত নিজে একা হাতে এই ধূপকাঠি তৈরি করছেন। গত ছয় মাস ধরে তিনি এই ধূপকাঠি তৈরি করার কাজ করছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও তার এইরকম রাজা ধূপকাঠি বানানোর রেকর্ড রয়েছে। এর আগে তিনি ১১১ ফুটের ধূপকাঠি বানিয়েছিলেন।এবার রাম মন্দিরের জন্য ১০৮ ফুটের ধুপকাঠি তৈরি করার জন্য তিন হাজার কেজি গোবর, ৯১ কেজি গরুর দুধ থেকে তৈরি ঘি, ২৮০ কেজি দেবদারু গাছের ছাল সহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অন্যান্য কাজের পাশাপাশি প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘন্টা তিনি এই ধূপকাঠি তৈরি করার জন্য সময় দিচ্ছেন। তিনি রাম মন্দির উদ্বোধনের আগেই এই ধূপকাঠি তৈরির কাজ শেষ করে তা রাম মন্দিরে পৌঁছে দেবেন বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এই ধূপকাঠি একবার জ্বালানোর পর অন্তত ৪৫ দিন ধরে জ্বলবে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।
More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর