October 5, 2025

মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ; শারদোৎসবের চতুর্থ দিন তথা *মহা অষ্টমী* দুর্গাপুজোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এই দিনকে বলা হয় দেবী আরাধনার পরম তিথি। পুরাণ মতে, মহিষাসুর বধযজ্ঞে এই দিনেই দেবী দুর্গা তাঁর অপরাজেয় শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন। তাই অষ্টমী দিবসকে বিশেষভাবে শক্তিপূজার দিন হিসাবে মান্যতা দেওয়া হয়। অষ্টমীর সকালে অনুষ্ঠিত হয় **মহা অষ্টমী পূজা**। এর মূল অঙ্গ হলো *অষ্টমী কুমারী পূজা* এবং *অষ্টমীর অঞ্জলি*। হাজার হাজার ভক্ত আজ সকালে শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে মণ্ডপে এসে দেবীর চরণে অঞ্জলি দেন। বিশ্বাস, এই অঞ্জলির মাধ্যমে মায়ের কাছে সমস্ত দুঃখ, দুর্দশা দূর করার প্রার্থনা পৌঁছে যায়। ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, মহা অষ্টমীকে বলা হয় “শক্তির প্রকাশের দিন”। দেবী দুর্গা এই দিনেই *চণ্ডী পাঠে বর্ণিত চণ্ডিকা রূপে* আবির্ভূত হয়ে অসুরবাহিনীকে ধ্বংস করেন। তাই অষ্টমীর পূজা হলো—অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠার প্রতীক। অষ্টমীর আরেকটি বিশেষ আচার হলো **অষ্টমীর সন্ধিপূজা**। *অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে* অনুষ্ঠিত এই পূজায় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে আরাধনা করা হয়। কাহিনী আছে, এই মুহূর্তে দেবী চণ্ড-মুণ্ড নামক অসুরদ্বয়কে বধ করেন। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের বিভিন্ন মণ্ডপে আজ সকাল থেকে চলছে ভক্তদের ভিড়। ভোগপ্রসাদ বিতরণ থেকে শুরু করে কুমারী পূজা—সব ক্ষেত্রেই অষ্টমীর আবহ আলাদা। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিনে করা প্রার্থনা, উপবাস বা অঞ্জলি মানুষকে জীবনের নানা বাধা-বিপত্তি থেকে মুক্তি দেয় এবং ভরে তোলে শক্তি ও আত্মবিশ্বাসে। মহা অষ্টমী শুধু একটি পূজার দিন নয়, এটি শুভশক্তির জাগরণ ও অশুভ শক্তির বিনাশের প্রতীক, যা বাঙালির হৃদয়ে শক্তি ও ভক্তির উজ্জ্বল আলোকশিখা হয়ে জ্বলতে থাকে।

Loading