সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: নিজের গর্ভে শরীরের রক্ত-মাংস নিয়ে তিলে তিলে সন্তানকে গড়ে তোলার দিন হয়ত শেষ হবে ভবিষ্যতে। সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য আর মায়ের গর্ভের দরকার পড়বে না। কৃত্রিম গর্ভেই বড় হবে সন্তান। মায়ের শরীরের গন্ধ ছাড়াই জন্ম নেবে গবেষণাগারে। সে হবে নিখুঁত, নীরোগ। শরীরে কোনও খুঁত থাকবে না, রঙ-রূপ ইচ্ছামতো বদলে দিতে পারবেন মা-বাবা। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হতে চলেছে অদূর ভবিষ্যতে। প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগে মানুষের জীবন হবে আরও উন্নত। সন্তান ধারণের প্রক্রিয়া হবে প্রযুক্তি নির্ভর।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্ট জানা আছে প্রতি বছর ঘরে তিন লক্ষ মহিলা গর্ভকালীন অবস্থায় নানান রকম জটিলতা সম্মুখীন হন। এছাড়া বন্ধ্যাত্বের মতো নানান সমস্যার সম্মুখীন হন নারী পুরুষ নির্বিশেষে। এছাড়া মা হওয়ার সময় কয়েক হাজার নারী মৃত্যুবরণ করেন। এমন নানান সমস্যার সমাধান করতে চলেছে একটোলাইফ নামের এক সংস্থা। সন্তানহীন মা-বাবাদের সন্তান সুখ দিতে প্রথম সন্তান তৈরির কারখানা নির্মাণ করেছে এই সংস্থা। প্রতিবছর তারা তিরিশ হাজার সন্তান তৈরি করবে। এই কারখানায় তৈরি সন্তানরা কেমন দেখতে হবে বা তাদের বুদ্ধি কতটা থাকবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তাদের বাবা মায়েরা। কৃত্রিমভাবে বাচ্চাদের জিন তৈরি করা হবে। যেমন খুশি তেমন সন্তান পেতে পারেন বাবা মায়েরা। ৩০০ টিরও বেশি জিনের বিকল্প দেওয়া হবে। বিজ্ঞানী খেলোয়াড় অভিনেতা শিল্পী কবি রাজনীতিবিদ সকলের জিন থাকবে। সম্প্রতি এই সংস্থার এক বিজ্ঞানী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে কৃত্রিম ভ্রুনের সাহায্যে কিভাবে তৈরি করা হয়েছে একটি শিশুকে। ৭৫ টি ল্যাবরেটরি রয়েছে এই সংস্থার। প্রতিটি ল্যাবে ৪০০ টি কৃত্রিম গ্রোথ পড রয়েছে। সম্পূর্ণ আসল সন্তানের মতনই জন্ম নেবে শিশু। সন্তানের খাওয়া-দাওয়া ও রোগের সম্ভাবনা নিয়েও গবেষণা চালানো হচ্ছে। বাচ্চাদের হৃদস্পন্দন রক্তচাপ শ্বাস-প্রশ্বাসের হার সবটাই পর্যবেক্ষণ করা হবে। আর সবচেয়ে চমত্কার ব্যাপার হলো, নিজের সন্তানের জন্ম নিজেরাই প্রত্যক্ষ করতে পারবেন মা-বাবা। এমনকি আসল গর্ভের সঙ্গে থাকবে না কোন পার্থক্য। তবে এক্ষেত্রে সন্তানদের শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভাবনার কোন কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
More Stories
১৩ হাজার ডলারের বিনিময়ে কেনা এক টুকরো বিরানভূমি, যা পরিণত হলো প্রকৃতির স্বর্গে
কেন ব্যবহার করা হয় “ঘট” হিন্দু পূজায়?
মা দুর্গার মুখে উর্ণনাভ: মহামায়ার চিহ্ন