সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: বিশ্বে যে প্রান্তেই যাওয়া হোক না কেন মশার কাছ থেকে রেহাই পাওয়াটা বড় কঠিন ব্যাপার। তাই এর থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় খোঁজা বড় কঠিন। আমাদের দেশ তো মশার যেন ডিপো। সকাল, বিকেল, রাত যেকোনো সময় যাই হোক না কেন মশার দাপট একই থাকে। মশাবাহিত রোগের হাত থেকে বাঁচতে সচেতনতার প্রচার চলে সারা বছর। মশা তাড়ানোর ধূপ, কয়েল, স্প্রে, মার্কেটে বিজ্ঞাপনে চারদিক ছয়লাপ। ঘরে, বাইরে, বাজারে, অফিসে, আদালতে, স্কুলে সব জায়গাতেই মশার আনাগোনা নিত্যদিন। যতই চেষ্টা করুন রক্তবীজের ঝাড়ের মতো মশার হাত থেকেও যেন নিস্তার নেই। আচ্ছা জানেন কি যে, এমন একটি দেশ আছে যেখানে মশা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কারণ সেখানে একটিও মশা নেই। আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই বলছি। সেই দেশটিতে শুধু যে মশা-ই নেই তা নয়, সেখানে একটি পোকামাকড়েরও দেখা মিলবে না। এমনকি সেদেশে একটিও সাপ নেই। মশা বা পোকামাকড় সম্পর্কে এই দেশের লোকজনের এরকম কোনও ধারণাই নেই। চলুন সেই মশাহীন দেশের কথা জেনে নেওয়া যাক। মশাবিহীন এই দেশটি হল উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত আইসল্যান্ড। ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাসের মতে, এই বিক্ষিপ্ত জনসংখ্যার দেশটিতে প্রায় ১,৩০০ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, অথচ একটি মশার চিহ্নও নেই সেখানে। যদিও এর প্রতিবেশী রাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ডেনমার্কের মতো দেশগুলিতে প্রচুর মশা দেখতে পাবেন। কিন্তু আইসল্যান্ডে মশার অনুপস্থিতি অনেক গবেষকদের কাছেই একটি আকর্ষণীয় বিষয়। আইসল্যান্ড দেশটি মশাবিহীন হওয়ায় বেশ কয়েকটি তথ্যের হদিশ মেলে। বলা হয় যে, মশার বংশবৃদ্ধির জন্য অগভীর জলাশয় কিংবা জমা স্থির জলের প্রয়োজন হয়, সেখানে মশা ডিম পাড়ে এবং সেই ডিম থেকে জন্মায় লার্ভা। এই মশার লার্ভা জন্মানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে জমে থাকা জলের প্রয়োজন হয়। মশার জীবনচক্র পরিপূররণের জন্য আইসল্যান্ডে কোনও স্থির জলাশয় নেই। তাই এদেশে মশার কোন অস্তিত্ব দিলেনা। তাই সেখানকার মানুষেরা মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পান।
More Stories
আমেরিকার শাটডাউন ও তার ছায়া: ভারতীয় অর্থনীতি ও প্রবাসীদের জন্য কী বার্তা?
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ দিলেন নেপালের সুশীলা কার্কি
হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতু