সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: বিজ্ঞানীরা গবেষণায় একেবারে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য পেয়েছেন। প্রশান্ত মহাসাগরের অভ্যন্তরে তৈরি হয়েছে বিশাল চ্যুতি। এখন প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশের প্লেটে ফাটলগুলো শত শত কিলোমিটার দীর্ঘ এবং হাজার হাজার মিটার গভীরপ্লেটটি প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ারের একটি বড় অংশ গঠন করে পৃথিবীর চারপাশে শুধু জল আর জমি নেই। নীচে রয়েছে টেকটোনিক প্লেটও। এই টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ার কারণে পৃথিবীতে ভূমিকম্প হয়। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, জাপান থেকে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত প্রশান্ত মহাসাগরীয় টেকটোনিক প্লেট ভেঙে যাচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটটি সমুদ্রের অভ্যন্তরে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে Geophysical Research Letters জার্নালে। গবেষক এরকান গুন বলেন, ‘ভূতাত্ত্বিক বিকৃতির ফলে মহাদেশীয় প্লেটের অভ্যন্তরে টেকটোনিক প্লেট তার সীমানা ছাড়িয়ে অনেকটা দূরে সরে যেতে পারে এমনটা ধারণা ছিল। তবে আমাদের ধারণা ছিল না, সামুদ্রিক প্লেটের সাথে একই রকম ঘটনা ঘটতে পারে।’ আর্থ সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক রাসেল পিস্কলেউইক বলেন, ‘টেকটোনিক প্লেটকে আমরা যতটা পুরনো বলে মনে করতাম ততটা পুরনোও নয় আসলে।’প্যাসিফিক প্লেট বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেট পৃথিবীর বৃহত্তম টেকটোনিক প্লেট। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের তলায় বেশির ভাগ অংশ জুড়েই রয়েছে এই প্লেট। উত্তর আমেরিকার পশ্চিম উপকূল বরাবর আলাস্কা পর্যন্ত বিস্তৃত। পশ্চিম প্রান্তে, এটি জাপান থেকে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিদ্যমান। গবেষকদের দাবি, তাদের ধারণা ঠিক হলে পৃথিবী কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে প্রচলিত ধারণা নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার সম্ভাবনা তৈরি হবে। ভূপৃষ্ঠের নীচে পৃথিবীর শিলামণ্ডল বিভক্ত বিভিন্ন অংশে বা খণ্ডে। এই প্লেটগুলো পৃথিবীর ভিতরে আংশিক তরল অংশের ওপর ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। এটা বোঝার জন্য গোটা পৃথিবীর ভূত্বকটিকে কল্পনা করতে হবে একটি ধাঁধা হিসাবে। কল্পনা অনুযায়ী, টুকরোগুলো অসম্ভব গরম ও চটচটে স্তরে ভাসছে। আর ধাঁধার এই টুকরোগুলোই একেকটি টেকটনিক প্লেট। আর এগুলো আসলে শক্ত পাথরের বিস্তীর্ণ স্ল্যাব। এগুলো ভূপৃষ্ঠের ভেতরের অংশে থাকা গলিত আবরণের ওপরের ভেসে বেড়ায় কঠিন আবরণ হিসেবে। বিলুপ্তির আশঙ্কা বিজ্ঞানীদেরমহাসাগরীয় প্লেট প্রাথমিকভাবে অবস্থান করে সমুদ্রের নীচে। অন্যদিকে, মহাদেশীয় প্লেট থেকে মহাদেশীয় ভূমি গঠিত হয়। অনুসন্ধান চালাতে গবেষকরা ব্যবহার করেছেন বিভিন্ন সুপার কম্পিউটার মডেল ও প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাংশের চারটি মালভূমির বিদ্যমান ডেটা।
More Stories
আলকুশি
শিশুর বিকাশে সংগীত শিক্ষা অপরিহার্য: গবেষণা জানাচ্ছে নতুন দিগন্তের কথা
চাঁদের পূর্ণগ্রহণ আজ : আকাশজুড়ে ‘রক্তচাঁদ’-এর বিরল দৃশ্য