October 5, 2025

শিশুর বিকাশে সংগীত শিক্ষা অপরিহার্য: গবেষণা জানাচ্ছে নতুন দিগন্তের কথা

সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ আজও সমাজে অনেকেই মনে করেন গানবাজনা কেবল সময়ের অপচয়, পড়াশোনার ক্ষতি করে। অথচ আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করছে, সংগীত শিক্ষা কেবল বিনোদন নয়—এটি শিশুদের মস্তিষ্ক, ভাষা ও সামাজিক দক্ষতার উন্নতির অন্যতম কার্যকর হাতিয়ার।

বৈজ্ঞানিক প্রমাণ কী বলছে?

  • স্নায়বিক উন্নতি: সংগীত শিক্ষা মস্তিষ্কে নতুন স্নায়বিক সংযোগ তৈরি করে, যা মনোযোগ ও শেখার ক্ষমতা বাড়ায় (PMC, 2019)।
  • স্মৃতি ও ভাষা: নিয়মিত গান বা যন্ত্রচর্চা শিশুদের স্মৃতিশক্তি ও ভাষা বোঝার ক্ষমতা উন্নত করে (NCBI, 2013)।
  • স্বল্পমেয়াদী প্রভাব: মাত্র ১২ সপ্তাহের সংগীত প্রশিক্ষণও কাজের স্মৃতি ও মানসিক নমনীয়তা বাড়াতে পারে (PMC, 2024)।
  • ভাষাগত দক্ষতা: পিয়ানো শিক্ষা শিশুদের সূক্ষ্ম শব্দ আলাদা করতে সাহায্য করে, যা ভাষা শেখাকে সহজ করে (TIME, 2018)।
  • শিক্ষাগত অগ্রগতি: কানাডার এক গবেষণায় দেখা গেছে, সংগীতে যুক্ত শিক্ষার্থীরা ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞানে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকে (Guardian, 2019)।
  • সামাজিক বিকাশ: দলগত সংগীতে অংশগ্রহণ শিশুদের সহমর্মিতা ও সামাজিক দক্ষতা বাড়ায় (PMC, 2021)।

শিক্ষাবিদ ও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সংগীত শিক্ষা কোনও বিলাসিতা নয়, বরং এটি একটি প্রমাণিত শিক্ষণ পদ্ধতি, যা শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য। একদিকে যেমন এটি শিক্ষাগত সাফল্য আনে, অন্যদিকে মানসিক স্বাস্থ্য, আত্মবিশ্বাস ও সহমর্মিতা তৈরিতেও ভূমিকা রাখে।

আজকের দিনে যখন শিশুদের শিক্ষাকে কেবল পরীক্ষার ফলাফলের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দেখা হয়, তখন সংগীত শিক্ষা প্রমাণ করছে—শেখা মানে শুধু বই পড়া নয়। গান, সুর আর যন্ত্রচর্চাই হতে পারে আগামী দিনের সৃজনশীল, সুস্থ ও মানবিক প্রজন্ম গড়ার শক্তিশালী উপায়।

Loading