সোমালিয়া ওয়েব নিউজ : রাজনৈতিক জগতে নক্ষত্র পতন। সমাজবাদী পার্টির শুরুর দিন থেকে পথচলা শুরু প্রয়াত প্রবীণ নেতা ও সম্ভলের প্রাক্তন সাংসদ শফিকুর রহমান বর্ক। প্রয়াণকালে বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। উত্তর প্রদেশের সাবল জেলার সাংসদ ছিলেন তিনি। দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে যত না প্রশংসা কুড়িয়েছেন তার থেকে বহু বেশি বিতর্কে জড়িয়েছেন। এই যেমন তার ‘বন্দে ভারত ইসলাম বিরুদ্ধ’ মন্তব্যটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে প্রয়াত হন তিনি। সংসদের প্রবীণতম সদস্য ছিলেন শফিকুর। দলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে। শোকবার্তা দলের সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন শফিকুর। মঙ্গলবার মোরাদাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াণ হয় তাঁর। সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাতে হঠাৎ করে প্রচণ্ড জ্বরের সঙ্গে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এরপর থেকেই ক্রমাগত স্বাস্থ্য়ের অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। প্রায় এক মাস চিকিৎসকার পর অবস্থার উন্নতি হয়নি। মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্ষীয়ান সাংসদের মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়েছিল। জানা গিয়েছে শফিকুরের এক নাতনি পেশায় চিকিৎসক, তাঁর তত্ত্ববধানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শফিকুরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ২০২৩ সালের নয়া লোকসভায় বর্ষীয়ান সাংসদের প্রশংসা করেছিলেন মোদী। সভার মর্যাদা রক্ষায় ৯৩ বছর বয়সেই তিনি তাঁর আসন গ্রহণ করেন। মোদী তা দেখে বলেন, ‘সংসদের প্রতি এমনই আনুগত্য থাকা উচিত।’ শফিকুর চারবারের সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক ও ২০১৯ সালে পঞ্চমবারের জন্য সম্ভল থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আগে ১৯৯৬, ১৯৯৮ ও ২০০৪, ২০০৯ সালে মোরাদাবাদ আসন থেকে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২২ সালে মোরাদাবাদ বিধাসভা নির্বাচনে জয়ী হন শফিকুরের নাতি।উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) বিরুদ্ধে হিংসাত্মক বিক্ষোভের জন্যও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল।
More Stories
বিজ্ঞানচেতনার প্রজ্বলিত প্রদীপ — ড. মেঘনাদ সাহা
অটলজির মতোই কি এবার চাপের মুখে মোদী সরকার?
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা