সোমালিয়া ওয়েব নিউজ : সোমবার অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় দেশের ১০ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৬ আসনে ভোট পড়েছে ৬২.৯০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। ভোট চতুর্থীতেও বদলাল না আমআদমির ভোট দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহার চিত্রটি। ওই রাজ্যে ভোটদানের গড় হার ৭৫.৬৬ শতাংশ। ভোটদানের হারে সবচেয়ে পিছিয়ে মহারাষ্ট্র। মরাঠাভূমে ভোট পড়েছে মাত্র ৫২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ভোট চতুর্থীতে ভোটদানের হার বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও গভীর করেছে। কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বান উপেক্ষা করে সাধারণ ভোটাররা ঘরবন্দি হয়ে থাকছেন তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। যদিও নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চূড়ান্ত হিসাবে ভোটদানের হার বাড়বে। তবে তা কত শতাংশে পৌঁছবে তা বলা সম্ভব নয়। গত ১৯ এপ্রিল থেকে দেশে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। মোট সাত দফায় ভোট নেওয়া হবে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ভোটদানের হার ছিল যথাক্রমে ৬৬.১৪, ৬৬.৭১ ও ৬৫.৬৮ শতাংশ। ভোটদানের ওই হার যথেষ্ট নিরাশাজনক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। লোকসভা ভোটের আগে দলের পান্না প্রমুখদের এক সম্মেলনে ৭৫ শতাংশ মানুষ যাতে ভোট দেন তার জন্য উদ্যোগী হতে আর্জি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির তরফে শ্লোগান তোলা হয়েছিল, ‘পহেলে ভোটদান, বাদ মে জলপান’। কিন্তু মোদির ওই আর্জিতে তেমন সাড়া মেলেনি। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ভোটদানের হার ৫৬.৩৫ শতাংশ। এনডিএ’র শরিক নীতীশ কুমারের বিহারে ভোট পড়েছে ৫৪.১৪ শতাংশ। বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে ভোট পড়েছে ৫২.৪৯ শতাংশ। তবে বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য মধ্যপ্রদেশে ভোটদানের হারে খানিকটা উন্নতি চোখে পড়েছে। ওই রাজ্যের আট আসনে এদিন ভোট পড়েছে ৬৮.০১ শতাংশ। ঝাড়খণ্ডে ভোট পড়েছে ৬৩.১৪ শতাংশ। ওড়িশায় ভোট পড়ার হার ৬২.৯৬ শতাংশ। আর ভোটদানের প্রতি মানুষের এমন নিরুৎসাহ বিজেপি নেতাদের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। প্রথম তিন দফার মতো চতুর্থ দফাতেও বিজেপি বা এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলিতে ভোটদানের হার রীতিমতো হতাশাজনক।
More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর