December 1, 2025

জয়ে বড় ভূমিকা সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীদের

সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: কঠিন লড়াই করেই আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে আসনটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় প্রার্থী মিতালি বাগ ৬৩৯৯ ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন। আর এই জয়ের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প ছাড়াও দলীয় সংগঠন, সংখ্যালঘু ভোট ইত্যাদির ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। কিন্তু তার বাইরেও তৃণমূলের এই জয়ের ক্ষেত্রে একটা বড় অবদান রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করা দলের একনিষ্ঠ কর্মীদের। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার পরিসংখ্যান ও বর্ণনা তুলে ধরে তাঁরা দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ সমর্থকদের মনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বকে অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। উল্লেখ্য, এই সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরেই প্রচারের আলোয় এসেছেন তৃণমূল যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাঁর ‘খেলা হবে’ গান তো শুধু এরাজ্য নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেখানে বাঙালিরা রয়েছেন সেখানেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আর এবারে নির্বাচনে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রেও এরকমই অসংখ্য তৃণমূল কর্মী সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের কর্মকাণ্ডকে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরে দলের জয়ের পথকে অনেকটাই সুগম করেছেন। প্রতিনিয়ত তাঁদের বিভিন্ন পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠেছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে আরামবাগের গৌরহাটি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাপসিট গ্রামের হেমন্ত ভট্টাচার্যের নাম। নিজের পেশা পৌরহিত‍্যের পাশাপাশি সারাদিনই তিনি দলের জয়ের জন্য নিরলস পরিশ্রম করেছেন। প্রতিদিন দলীয় প্রার্থী মিতালি বাগের সমর্থনে তাঁর অজস্র পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। লাইক, কমেন্ট, শেয়ারে ভরে গেছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি সহ দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীর বিভিন্ন পোস্টকে তাঁরা শেয়ার করে দলীয় কর্মীদেরকে বার্তা দিয়েছেন। এমনকি দলীয় প্রার্থীর হয়ে পথে নেমে প্রচার করতেও তাঁদেরকে দেখা গেছে। তিনি ছাড়াও আরামবাগের মায়াপুর দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুরের কিংকর ঘোষাল, খানাকুল-২ নম্বর ব্লকের নতিবপুরের শেখ আজিজুল রহমান সহ অসংখ্য কর্মী এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন। এ বিষয়ে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী হেমন্ত ভট্টাচার্য বলেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব‍্যানার্জি এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব‍্যানার্জি কে মন থেকে ভালবাসি। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের জন্য নিজেদের সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। একটা কম দামি ফোন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লড়াই করেছি। আর তার ফলও মিলেছে হাতে নাতে। গৌরহাটি-১ নম্বর অঞ্চল থেকে তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ বড়সড় লিড পেয়েছেন। তবে শুধু আমি নই, আমার মতো অসংখ্য কর্মী কোন কিছু পাওয়ার আশা না করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

Loading