October 6, 2025

আজ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের প্রয়াণ দিবস

অধ্যাপনাকালে তার প্রিয় বিষয় রসায়ন নিয়ে তিনি নিত্য নতুন অনেক গবেষণাও চালিয়ে যান।বাঙালিদের ব্যবসায় অনাগ্রহ ও হীনমন্যতা পর্যবেক্ষণে ১৮৯২ সালে, ৭০০ টাকা বিনিয়োগে ও নিজ উদ্যোগে, নিজস্ব গবেষণাগার থেকেই বেঙ্গল কেমিক্যাল কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীকালে ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে তা কলকাতার মানিকতলায় ৪৫ একর জমিতে স্থানান্তরিত করা হয়। তখন এর নতুন নাম রাখা হয় বেঙ্গল কেমিক্যাল এন্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস লিমিটেড। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্রের মৃত্যুর পর এবং ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে বেঙ্গল কেমিক্যালস ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ডিসেম্বর এই সংস্থাটির পরিচালনার দায়িত্ব ভারত সরকার গ্রহণ করে এবং ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ডিসেম্বর সংস্থাটির জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দের ২ মার্চ থেকে নতুন পাবলিক সেক্টর পরিচালিত সংস্থা চালু হয় এবং নামকরণ করা হয় বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বিসিপিএল) দীর্ঘ কয়েকবছর দশক ধরে ক্ষতির মধ্যে দিয়ে চলার পর ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে সংস্থাটি মুনাফায অর্জন করতে সক্ষম হয়। করোনা মুকাবিলায় বিশ্বজুড়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের চাহিদা বেড়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল কমিশন বেঙ্গল কেমিক্যালকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন উৎপাদনের অনুমতি দেয়। এছাড়াও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর অনুমতি থাকায় ২০২০ অর্থবর্ষে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয় এবং লাভের আলো দেখে। বর্তমানে কোম্পানিটি বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী প্রস্তুত করে থাকে- অ্যালুমিনিয়াম সালফেট(অ্যালাম),ড্রাগ এবং ফার্মাসিউটিক্যালস, যেমন- অ্যানালজেসিক ও অ্যান্টিপাইরেটিক, অ্যান্টিব্যাকটেরিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ড্রাগ, নন-স্টেরয়েড অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ড্রাগ, অ্যান্টি-টিউবারকিউলোসিস ড্রাগ, অ্যান্টিম্যালেরিক ড্রাগ, ভিটামিন প্রস্তুতি অ্যান্টি ভেনাম সিরাম,প্রসাধনী ও গৃহসামগ্রী প্রস্তুতি।

Loading