October 5, 2025

দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অভিষেক ব্যানার্জির উদ্যোগে গ্রামে রাস্তা পেলেন প্রবীণ শিক্ষক

সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: প্রধান সড়ক থেকে গ্রামে যাওয়ার কোন রাস্তা ছিল না। প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা কোথাও কাদা পেরিয়ে, কোথাও পুকুরপাড় দিয়ে, আবার কোথাও অন‍্যের বাড়ির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হতো। গ্রামে পৌঁছানোর সেই রাস্তার জন্য দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর ধরে লড়াই করে সফল হলেন ওই গ্রামের ৮১ বছরের বাসিন্দা তথা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নবকুমার গুপ্ত। সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির উদ্যোগে অবশেষে স্বপ্নপূরণ হল তাঁর। ঘটনাটি আরামবাগের বাতানল গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলুয়া গ্রামের। নবকুমারবাবু জানান, স্বাধীনতার পর থেকে তাঁদের গ্রামে কোন রাস্তা ছিল না। বছরের পর বছর ধরে গ্রামবাসীরা বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ থেকে নবান্ন সব জায়গায় দৌড়েছেন নবকুমারবাবু। কোন উপায় না দেখে অন্য পথ গ্রহণ করেন নবকুমারবাবু। গত বছর ৭ জুন আরামবাগের ভালিয়া এলাকায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে এসেছিলেন সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। আর তখনই তাঁর গাড়ির কনভয়ের সামনে শুয়ে ওই রাস্তার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে এসে ওই রাস্তার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিষেক। পরদিন থেকেই রাস্তা তৈরির প্রস্তুতি শুরু করে দেন জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়াররা। সম্প্রতি সেই রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আর সেই সঙ্গে নবকুমারবাবুর আন্দোলন আজ সার্থকতা পেয়েছে। প্রধান রাস্তা থেকে গ্রামে পৌঁছে গেছে কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা। এখন সুযোগ সময় পেলেই ওই রাস্তার উপর দিয়ে গর্বে সঙ্গে পাইকারি না করছেন নবকুমারবাবু। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের এখানে রাস্তা বলে কিছু ছিল না। এই এলাকা যেন পান্ডববর্জিত। কিছুটা লোকের বাড়ি দিয়ে কিছুটা মাঠের আল বা পুকুরের পাড় দিয়ে যাতায়াত করতে হতো। ২০১৭ সাল থেকে আমি এই রাস্তা করার জন্য লড়াই করেছি। কোনভাবেই কিছু করতে না পেরে অভিষেকবাবু যখন এখানে নবজোয়ার কর্মসূচি করতে এসেছিলেন তখন ওনার কনভয়ের সামনে শুয়ে পড়ে আবেদন জানিয়েছিলাম। উনি গাড়ি থেকে নেমে আমাকে এই রাস্তার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন। আর পরের দিন থেকেই দেখলাম ইঞ্জিনিয়াররা এই রাস্তা তৈরির জন্য মাপজোক শুরু করে দিয়েছে। এখন সেই রাস্তাই সম্পূর্ণ হয়েছে। ভীষণ আনন্দ লাগছে। তিনি এই রাস্তা তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জিকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। অন্যদিকে গ্রামেরই বাসিন্দা শেফালী রানা, গুরুপ্রসাদ গুপ্ত, ভাদু বাড়ুই প্রমুখরা জানালেন, এই এলাকায় রাস্তা বলে কিছু ছিল না। কিন্তু নবকুমারবাবুর দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের ফলে আমরা এই রাস্তা পেয়েছি। এখন আমরা অনেক সহজেই যাতায়াত করতে পারছি ভীষণ ভাল লাগছে।

Loading