October 5, 2025

ঘাসফুল জিতলে এই বাংলার মাটিতে থেকেই সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। কারণ তৃণমূল বাংলার পার্টি: দেবাংশু ভট্টাচার্য

সোমালিয়া সংবাদ, গোঘাট: শুক্রবার গোঘাটে তৃণমূল প্রার্থী মানস মজুমদারের সমর্থনে জনসভায় নিজের এক স্বপ্নের কথা জানালেন তৃণমূল যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এদিন গোঘাটের বকুলতলায় বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, আমার একটা স্বপ্ন আছে। মমতা ব্যানার্জি তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন‍্য যখন শপথ নেবেন, আমি দলের বড় বড় নেতাদের অনুরোধ করেছি, আমার খুব আশা, আমি চাই ওই দিদির তৃতীয় শপথ গ্রহণের দিন দিদি বিশেষ অতিথি হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ করুক শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটা দেখার জন্য। আর আমি দলকে বলেছি ওইদিন আমি চা-এর ডেলিভারি বয়ের দায়িত্ব নেব। সমস্ত অতিথিদের হাতে এক কাপ করে চা দেব। শুভেন্দু অধিকারীর হাতেও এক কাপ চা তুলে দেব। এদিন দেবাংশু পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আরামবাগ লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার মধ্যে ছ’টি  হুগলি জেলাতে। এই ছটির প্রত্যেকটি বিধানসভায় ১৫ হাজার থেকে শুরু করে অনেক অনেক বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়লাভ  করতে চলেছে। এদিন তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জির ওজন  ৪৯ কেজি হবে খুব বেশি হলে। এই  ৫ ফুট ২ ইঞ্চি রোগা-পাতলা মহিলার কত ক্ষমতা। যার জন্য দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলায় এক মাসের জন্য ঘাঁটি গেড়ে পড়ে আছেন। কত ক্ষমতা। অথচ ওদের কাছে কত ওজনদার নেতা রয়েছে। তবুও ওদের ঘাম বেরিয়ে যাচ্ছে। অমিত শাহজি পশ্চিমবঙ্গে নাকি এক মাসের জন্য একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নেবেন। কি লজ্জা কি লজ্জা। এদিন দেবাংশু বলেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইটা গরীব- ম সংবাদ, ধ্যবিত্তদের সঙ্গে বড়লোকদের। কারণ নরেন্দ্র মোদি বড়লোকদের ছাড়া আর কারও জন্য কিছুই করেনি। ওরা বলছে, ডবল ইঞ্জিন সরকার হবে। কিন্তু আগে তো দেখতে হবে দিল্লির ইঞ্জিনটা কেমন।  সেটা এমন ভালো যে ছুটতে ছুটতে ছুটতে আপনাদের রান্নাঘরে এসে ধাক্কা মেরে দিয়েছে।  গ্যাসের দাম ৯০০ টাকার কাছাকাছি। এবার বিজেপি যদি আসে তাহলে দুহাজার টাকা করে দেবে ।  একটা ইঞ্জিনেই শান্তি নেই, হাড়মাস জ্বালিয়ে খাচ্ছে। তারপর আর একটা ইঞ্জিন এলে কি হবে বুঝতেই পারছেন। এদিন দেবাংশু বলেন, একটা দলের এত আকাল, তারা অপেক্ষা করে আছে কবে কে কাকে লাথি মেরে বার করবে তাকে প্রার্থী করবে, বুঝুন। উল্লেখ্য, গোঘাটেও প্রাক্তন বাম বিধায়ককে বিজেপি প্রার্থী করেছে। এ প্রসঙ্গেে দেবাংশু বলেন, আপনাদের এখানে বিজেপির আদি কর্মীদের কেউ ছিলনা। প্রার্থী হওয়ার জন্য বামফ্রন্টের একজন বিধায়ক যে পাঁচ বছর ছিল, তাকে প্রার্থী করতে হলো। এজন্য বিজেপি নাকি নিজেরাই নিজেদের নেতাদের মাথায় টেবিল ভেঙেছে শুনলাম। নিজেরাই নিজেদের পার্টি অফিস ভেঙেছে।

Loading