October 5, 2025

খানাকুলের কাবিলপুরে দুষ্কৃতীদের মারে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর, অভিযুক্ত বিজেপি

সোমালিয়া সংবাদ, পুরশুড়া: বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারধরে মৃত্যু হল এক সক্রিয় তৃণমূল কর্মীর। মৃতের নাম কানু দোলুই (৪৪)। বাড়ি পুরশুড়া বিধানসভার অরুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের পার চব্বিশপুর গ্রামে। তবে তিনি তাঁর শ্বশুরবাড়ি ওই পঞ্চায়েত এলাকারই কাবিলপুর গ্রামে থাকতেন। সেখানেই তিনি তৃণমূলের হয়ে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। পেশায় তিনি ভাগচাষী। একেবারেই অভাবের সংসার। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা অরুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বিকাশ চন্দ্র দাস জানান, নির্বাচনের দিন সন্ধেবেলা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপর চড়াও হয়েছিল। লাঠি, বাঁশ দিয়ে তাঁকে মারধর করে। তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাঁকে মাটিতে ফেলে বুকে ও পেটে লাথি মারে। এই ঘটনায় তিনি গুরুতর জখম হন। এরপর এলাকার মানুষ বেরিয়ে পড়লে ওই দুষ্কৃতীরা তাঁকে আধমরা অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোক ও স্থানীয় মানুষ তাঁকে উদ্ধার করে হাওড়ার পঁচারুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার সন্ধেয় তাঁর মৃত্যু হয়। এই খবর  এলাকায় পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দলের নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের দিকে রওনা দেন।  তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি তথা পুরশুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দিলীপ যাদবও ওই হাসপাতালে ছুটে যান। এ বিষয়ে দিলীপ যাদব বলেন, এই ঘটনার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই।  গণতান্ত্রিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে বিজেপি সন্ত্রাস ও হিংসার পথ গ্রহণ করেছে। আমরা বিষয়টি  নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। যদিও তারা বিজেপির কোন দোষ ত্রুটি দেখতে পায় না। ওই রাজনৈতিক দলের নির্দেশেই কাজ করে। পুলিশকে বলব অবিলম্বে যেন দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি দলের উচ্চনেতৃত্বকেও পুরো ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। মৃতের স্ত্রী অসীমা দোলুই এই ঘটনায় একেবারেই ভেঙে পড়েছেন। পাশাপাশি তিনি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন পুরশুড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিমান ঘোষ। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কেউ যুক্ত নয়। বিজেপি মারধরের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। দলের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে‌। 

Loading