সোমালিয়া সংবাদ: আরামবাগ: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই হালখাতা। অথচ এবার পাইকারি দোকানগুলোতে সেরকমভাবে নতুন খাতার বিক্রি নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ আরামবাগের ওই সমস্ত দোকানদারদের। কারণ বছরের শেষে এই কয়েকটা দিন নতুন খাতা বিক্রিকে কেন্দ্র করে তাঁরা অনেকটাই লাভের মুখ দেখেন। আরামবাগ শহরেই এ ধরনের স্টেশনারি দোকানের সংখ্যা শতাধিক। এছাড়া আরামবাগ মহকুমার হিসাব ধরলে সেই সংখ্যা কয়েক হাজার। এই সমস্ত দোকানদাররা প্রতিবছরই পুজোর পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের নতুন খাতা আমদানি করে রাখেন। দোকানদাররা জানালেন, এর জন্য আগে থেকে অর্ডার দিয়ে খাতা আনাতে হয়। গতবছর করোনা পরিস্থিতির জন্য লকডাউন চলছিল। সমস্ত দোকান ছিল বন্ধ। ফলে গতবার হালখাতা তেমনভাবে হয়নি। কেনাকাটার প্রশ্নই থাকেনি। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল এই সমস্ত দোকানদারদের। কিন্তু তাঁরা আশা করেছিলেন, এ বছরে অন্তত সেই ক্ষতি কিছুটা সামাল দিতে পারবেন। পরিস্থিতি ঠিকই যাচ্ছিল। কিন্তু আবার করোনার ঢেউ আছড়ে পড়তে শুরু করায় ব্যবসা একেবারে তলানিতে। তন্ময় নাথ নামে এক দোকানদার বলেন, প্রতি বছর এই সময় বিভিন্ন ধরনের লাল খাতা রমরমিয়ে বিক্রি হয়। কিন্তু গতবছর দোকানে বিক্রিই ছিল না। আর এবছর খুব অল্প বিক্রি হচ্ছে। মুকুল তরফদার নামে আর এক দোকানদার বলেন, করোনা সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছে। মানুষের মনের মধ্যে উৎসবের আমেজ নেই। স্বাভাবিকভাবেই হালখাতার অনুষ্ঠানের আড়ম্বরতা অনেক কমে গেছে। পয়লা বৈশাখ মানেই খাতা কেনার ধুম। সেটা এখন আর দেখা যাচ্ছে না। ফলে বিক্রিও কমেছে। আরামবাগের পান্ডুগ্রামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাচ্চু মান্না জানান, গত বছর কেনাবেচা বন্ধ ছিল বলে এবছর বিক্রি বেশি হবে তা কিন্তু একেবারেই মনে হচ্ছে না। তাই ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুবই খারাপ। করোনা পরিস্থিতির জেরেই যে ব্যবসার এর
More Stories
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন
দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে মৃত ১৩, নিখোঁজ ১
কালীঘাটে বিজয়া সম্মিলনীতে মমতা–অভিষেক