October 5, 2025

রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে ভয়ংকর করোনা, মাস্ক নেই দেখলেই ধরছে

সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: দেশজুড়ে যখন করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে তখনও বহু মানুষের মুখে মাস্ক নেই। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার সচেতন করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমেও সরকারের পক্ষ থেকেও করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে। কিন্তু তবু যেন হুঁশ ফেরেনি একশ্রেণীর মানুষের। আর তাঁদের হুঁশ ফেরাতে এবার উদ্যোগী হলেন সামান্য এক চাষি। তাঁর নাম তৃণাঙ্কুর পাল। দৈত্যকায় করোনাভাইরাস সেজে এক জেলা থেকে অন্য জেলায়, এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম সাইকেলে চড়ে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।  উদ্দেশ্য একটাই, সাধারণ মানুষকে করোনার মহামারী থেকে রক্ষা করা। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আরামবাগ ও গোঘাটের বিভিন্ন এলাকায় তাঁকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল। মুখে মাস্ক না থাকলেই তিনি সাইকেল থামিয়ে ছুটে যাচ্ছেন তাঁদের কাছে। মাস্ক পরার জন্য ভয় দেখাচ্ছেন। তারপর  নিজের ঝুলি থেকে মাস্ক বের করে পরিয়ে দিচ্ছেন তাঁদের মুখে। তাঁর সঙ্গী বলতে একটামাত্র সাইকেল আর একটি ঝোলা। ওই ঝোলার মধ্যে রয়েছে নিজের কিছু খাবার দাবার আর মাস্ক। সাইকেলের পিছনে রীতিমতো পোস্টার সেঁটে দিয়েছেন। মাস্ক পরুন,  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। তৃণাঙ্কুরের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনা থানার যাদবপুর গ্রামে। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। সামান্য এক চাষি হয়েও তিনি সকাল থেকে মুড়ি বেঁধে বেরিয়ে পড়েছেন। কখনও কখনও দুপুরে বা রাতে বাইরেও থেকে যাচ্ছেন। তখন খাওয়া-দাওয়া হোটেলে। জানালেন সবকিছুই নিজের খরচে, কারও কাছ থেকে এক পয়সাও সাহায্য নেননি। করোনা রূপী নিজের পোশাকটাও তৈরি করেছেন নিজেই। হেলমেট, কাপড়, তুলো আর রং ব্যবহার করে। তিনি বলেন, আমার উদ্দেশ্য একটাই, এই মহামারীর কবলে থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা। তাই তাঁদেরকে সচেতন করে তুলছি। এখন মানুষ যত তাড়াতাড়ি এই নিজের ভালটা বুঝতে পারবেন ততই সকলের উপকার। তাঁর কথায়, শুধুমাত্র সরকারের উপর দায়িত্ব ছেড়ে দিলেই হবে না। আমাদের নিজেদের দায়িত্বটুকু নিজেদেরকেই পালন করতে হবে।

Loading