সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ গোটা দেশে ২৩ মার্চ দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ তাঁদের ফাঁসি কার্যকর হয় ভগৎ সিংহ, সুখদেব, রাজগুরুর। ১৯২৮ সালের ৩০ অক্টোবর স্যর জন সাইমনের লাহৌর সফরের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চাসলান লালা লাজপত রাই। ‘সাইমন গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। প্রতিবাদ থামাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতে গুরুতর আহত হন লাল লাজপত রাই। ১৯২৮ সালে লালা লাজপত রাইকে পুলিশি নির্যাতন চালানো হয়, যার ফলে তিনি মারা যান। লালা লাজপত রাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ভগৎ সিংহ, সুখদেব এবং রাজগুরু পরিকল্পনা করেন ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ার। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে তারা পাঞ্জাব পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট, জেমস স্কটের উপর আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ভুলবশত, তাঁরা জেপি সন্ডার্স নামক পুলিশ অফিসারকে হত্যা করে ফেলে, যিনি স্কটের চেহারার সাথে মিলে গিয়েছিলেন। এরপর, ভগৎ সিংহ ও তাঁর সহযোগীরা আরো বড় পরিকল্পনা করেন। তাঁরা ১৯২৯ সালে কলকাতার সেন্ট্রাল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলিতে বোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনা করেন, যা ছিল একটি অত্যন্ত সাহসী কাজ। এই আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধাচরণ এবং ভারতের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামকে সামনে আনা। ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল বোমা নিয়ে ঢুকে ধরা পড়ে যান তাঁরা। তাতে ফাঁসির সাজা হয় তাঁদের। ভগৎ সিংহের যখন ২৩ বছর বয়স, সুখদেবের ২৪ এবং রাজগুরুর ২২, ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ তাঁদের ফাঁসি কার্যকর হয়। এ দিন শহিদ দিবসে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘ভগৎ সিংহ, সুখদেব এবং রাজগুরুর আত্মবলিদান চিরকাল স্মরণ করবে ভারত। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এঁদের অবদান অতুলনীয়’ .

More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর