সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: করোনার কঠিন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে অসামান্য কাজের জন্য আরামবাগের কৃতী সন্তানদের পুরস্কৃত করল জি ২৪ ঘন্টা সংবাদমাধ্যম। এছাড়াও সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বেশ কয়েকজনকে সম্মানিত করা হল। আরামবাগ হোটেল এন্ড রিসর্টে এক অনুষ্ঠানে এই সম্মান তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গত এক বছর করোনার সময় দুঃস্থ ও অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আরামবাগের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী সৈয়দ জিয়াজুর রহমান এবং অভিনেতা শিক্ষক সেখ শাহিদ ইমাম ওরফে মহারাজ। দু’জনেই কঠিন মুহূর্তে সাধারণ মানুষের হাতে খাবার ও নগদ টাকা তুলে দিয়েছিলেন। জিয়াজুর সাহেব করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রশাসনের হাতে ১০০ বেড, পিপিই, মাস্ক ইত্যাদি উপহার দিয়েছিলেন। এছাড়া বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে ভবঘুরেদের জন্য রান্না করা খাবার সবকিছুই সেই তালিকায় ছিল। আর সাধারন মানুষের হাতে ওই সময় নগদ টাকা ছিল না। সেকথা উপলব্ধি করে শাহিদ ইমাম ওই সমস্ত গরিব মানুষদের হাতে নগদ টাকা তুলে দিয়েছিলেন। তাঁদের এই মানবিক কাজের জন্য তাঁদেরকে পুরস্কৃত করল জি ২৪ ঘন্টা। এছাড়াও এই মঞ্চে পুরস্কৃত করা হয় দুই চিকিৎসক অশোক কুমার নন্দী এবং দেবাশিস দেবনাথকে। অশোকবাবু কোভিড কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন। করোনা আক্রান্ত রোগীদেরকে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা করেছেন। একজন রোগীকেও তাঁর কাছ থেকে ফিরে যেতে হয়নি। পাশাপাশি তিনি নিজেও দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন সময় খাদ্য এবং কোভিড সরঞ্জাম উপহার দিয়েছেন। প্রায় ৩০ হাজার মাস্ক সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করেছেন। অন্যদিকে ডাঃ দেবাশিস দেবনাথ করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা করেছেন। নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়ে ফিরে আবার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। পাশাপাশি আরামবাগের কোভিড হাসপাতালে সাড়ে তিন মাস রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে গেছেন নার্স রিম্পা কোলে। বাড়ি থেকে দূরে থেকে তাঁর লড়াইয়ের অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকেও এদিন সম্মানিত করা হয়। এছাড়া করোনাকালে প্রশাসক হিসেবে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন গোঘাট-১ নম্বর বিডিও সুরশ্রী পাল। দীর্ঘদিন তিনি নিজের বাড়ি এবং ভাড়া বাড়ি ছেড়ে ব্লক অফিসে থেকে কাজ করে গেছেন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা থেকে শুরু করে কোভিড আক্রান্তদের ভরসা জোগাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল তাঁর। অন্যদিকে সামাজিক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই ভাল কাজ করে চলেছেন খানাকুলের গবেষক ও সমাজকর্মী এবং সাংবাদিক দেবাশিস শেঠ। অন্ধত্বমুক্ত গ্রাম গড়ে তুলতে তিনি নিয়মিত লড়াই করে চলেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সামাজিক কাজের পরিধি এতটাই বিস্তৃত যা বলে শেষ করা যায় না। তাই জি ২৪ ঘন্টা এদিন তাঁর সেই লড়াইয়ের স্বীকৃতি দিল।
More Stories
মিরিকের বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে সিপিআই(এম) নেতৃত্ব
উত্তরবঙ্গের বন্যা বিপর্যয়ে ত্রাণে বিজেপি, নীরব তৃণমূল! মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবের মাঝেই রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য্যের উত্তরবঙ্গ সফর
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন