সোমালিয়া সংবাদ আরামবাগ: নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক হিংসার জন্য বিজেপিকে দায়ী করে আরামবাগ শহরজুড়ে হোর্ডিং ও ব্যানার লাগালো আরামবাগের নাগরিক সমাজ। আরামবাগ শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়, প্রতীক্ষালয়ে এই সমস্ত হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। সেখানে গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর দলের নেতারা যেসব প্ররোচনামূলক বিবৃতি দিয়েছেন তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘২ তারিখের পর মেরে ঠান্ডা করে দেব’, ‘বদল হবে বদলাও হবে’ এরকম ১৭ টি মন্তব্য সেখানে তুলে ধরা হয়েছে। নাগরিক সমাজের বক্তব্য, এই সমস্ত প্ররোচনামূলক মন্তব্যগুলো গত দু’বছর ধরে দিলীপ ঘোষ এন্ড কোম্পানি যেভাবে রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বর্তমান নির্বাচন পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য তাঁরা কখনও দায় এড়াতে পারেন না। পাশাপাশি ওইসব হোর্ডিংয়ে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে বাংলায় শান্তি ও সম্প্রীতি অব্যাহত রাখারও আবেদন জানানো হয়েছে। এই হোর্ডিংকে ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পথচলতি মানুষও বিজেপি নেতাদের ওই সমস্ত মন্তব্য পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির জন্য বিজেপিকেই দায়ী করছেন। এ বিষয়ে নাগরিক সমাজের সম্পাদক সঞ্জীব চক্রবর্তী বলেন, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি চলছে। এটা আমাদের কাছে খুবই যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিত যদি আমরা বিচার করি তাহলে আমরা দেখব গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে আমাদের দায়িত্বশীল নেতারা যে সমস্ত প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছেন সেগুলোই আজকের এই উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য অনেকটাই দায়ী। আমরা এটাকে কখনোই সমর্থন করছি না। আমরা চাই সমস্ত এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি অটুট থাকুক, সুস্থ পরিবেশ যেন বজায় থাকে। তিনি আরও বলেন, বাংলা কোনদিনই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেনি বা কোন একটি সম্প্রদায়কে নিয়ে রাজনীতি করার পরিবেশ কখনও গড়ে ওঠেনি। এবারের নির্বাচনের ফলাফলেও তা পরিষ্কার। আমরা চাই আমাদের সেই সুষ্ঠু পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি