সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: করোনা মোকাবিলায় রবিবার থেকে জারি হয়েছে একগুচ্ছ সরকারি নির্দেশিকা। আর তার জেরে বাস-ট্রেন সহ সমস্ত যানবাহন বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না এক অসহায় আদিবাসী দম্পতি। জানতে পেরেই তাঁদেরকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন আরামবাগ থানার আইসি পার্থসারথি হালদার। জানা গেছে, ওই দম্পতির নাম সুনীল সরেন ও রাধি সরেন। তাঁদের বাড়ি গোঘাট থানার গোলপুর এলাকায়। রাধি জানান, তাঁর স্বামী সুনীল বুধবার থেকে হঠাৎই বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বমি হচ্ছিল। তাই তাঁকে আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। এরপর সুস্থ হয়ে ওঠায় রবিবার সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখেন বাড়ি যাওয়ার মতো কোনও যানবাহন নেই। তাই প্রায় ১০ কিমি পথ কিভাবে যাবেন বুঝতে না পেরে রাস্তার ধারে বসে ছিলেন। আলাদা কোন অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য গাড়ি ভাড়া করে যে বাড়ি পৌঁছাবেন তারও উপায় ছিল না। কারণ হাতে তেমন টাকা পয়সাও তা়দের ছিল না। তখনই টহল দিতে দিতে সেখানে পৌঁছান আরামবাগ থানার আইসি পার্থসারথি হালদার। সেখানে বসে থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই ওই দম্পতি তাঁদের অসহায়ত্বের কথা জানান। সঙ্গে সঙ্গেই আইসি পার্থসারথি হালদার তাঁর সহকর্মীদের ওই দম্পতিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। এরপরই পুলিশকর্মীরা দ্রুত একটি টোটো ভাড়া করে ওই দম্পতির বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেন। পুলিশকর্মীরা নিজেরাই টোটো চালকের হাতে আগাম ভাড়া তুলে দেন। এই ঘটনায় ভীষণ খুশি ওই দম্পতি। রাধি বলেন, পুলিশের বড়বাবু আমাদের জন্য যা করলেন আমরা কোনদিনও ভুলতে পারবো না। একজন বাবার মতই ওনারা আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। নাহলে হয়তো আমাদেরকে এখানেই পড়ে থাকতে হতো।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি