সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ আজ ২৩ জুলাই দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথপ্রদর্শক লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক-এর জন্মজয়ন্তী। ১৮৫৬ সালের এই দিনে মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলার চিখলগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। আজ তাঁর ১৬৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্মরণসভা ও অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
রত্নগিরিতে তাঁর জন্মভবনে ও পুনে শহরে লোকমান্য তিলক স্মারক মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী সহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদরা। এদিন তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, দেশাত্মবোধক গান, আলোচনা সভা এবং ‘স্বরাজ আমার জন্মসত্তা’ স্লোগান পাঠ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
“স্বরাজ আমার জন্মসত্তা”—যা আজও অনুপ্রেরণা
তিলক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম সারির কট্টর জাতীয়তাবাদী নেতাদের একজন। তিনি ছিলেন সেই বিরল ব্যক্তি, যিনি সর্বপ্রথম ঘোষণা করেছিলেন— “স্বরাজ আমার জন্মসত্তা এবং আমি তা অবশ্যই অর্জন করব।”
এই ঘোষণা গোটা উপমহাদেশে জাতীয়তাবাদী চেতনার আগুন ছড়িয়ে দেয়।
তিলক কেবল রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন সমাজসংস্কারক, শিক্ষক এবং সাংবাদিক। ‘কেসরি’ ও ‘মহারাটা’ নামে দুটি পত্রিকার মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলেন। ১৮৮৪ সালে ‘ডেকান এডুকেশন সোসাইটি’ প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার প্রসারে উদ্যোগ নেন।
তিলক গণেশ উৎসব ও শিবাজি উৎসবের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদকে সামাজিক আন্দোলনের রূপ দিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, ভারতের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হলে তাদের ধর্ম ও সংস্কৃতির শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
তিলকের লেখায় ব্রিটিশ শাসনের সমালোচনার কারণে একাধিকবার তাঁকে কারাবরণ করতে হয়। ১৯০৮ সালে তাঁকে রাজদ্রোহের অভিযোগে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়ে বার্মার মাণ্ডলে পাঠানো হয়। কিন্তু কারাবাস তাঁর আদর্শ থেকে তাঁকে বিচ্যুত করতে পারেনি।
পুনে, মুম্বই, দিল্লি সহ একাধিক শহরে তাঁর স্মরণে পদযাত্রা, চিত্রপ্রদর্শনী এবং শিক্ষামূলক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।

More Stories
নীতিশ সরকারের নতুন দান — ২৫ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্কে পৌঁছল ১০ হাজার টাকা
বিজয়া দশমী: অধর্মের পরাজয় ও ধর্মের জয় উদযাপন
মহা অষ্টমী : দেবী আরাধনার সর্বোচ্চ শিখর