সোমালিয়া সংবাদ আরামবাগ কোভিডের বাড়বাড়ন্তের জন্য গত এক সপ্তাহ ধরে রাজ্যজুড়ে বেশকিছু সরকারি বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে। যার জেরে বন্ধ হয়েছে লোকাল ট্রেন থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী বাস, অটো, টোটো ইত্যাদি। এছাড়াও দিনের বেশির ভাগ সময় বেশিরভাগ দোকানপাটই বন্ধ। সরকারি-বেসরকারি অফিসও বন্ধ রয়েছে। আর তারফলে সমস্যায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন। এখন তাদের ভরসা হয়ে উঠেছে আরামবাগ পৌরসভা পরিচালিত ‘মা’ ক্যান্টিন। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে গরিব মানুষদের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় এই ক্যান্টিন চালু হয়েছিল। সেই থেকেই আরামবাগ পুরসভার উদ্যোগে আরামবাগ ভবঘুরে ভবনের পাশে এই ক্যান্টিন চলে আসছে। এখানে প্রতিদিন আগে থেকে অর্ডার দিয়ে মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে ডিম-ভাত খাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন দিন কিছু সবজিও থাকে। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ থাকার ফলে এই ‘মা’ ক্যান্টিনের ওপর চাপ বেড়েছে। এই ক্যান্টিনের ইনচার্জ কৌশিক দে জানান, যখন এই ক্যান্টিন শুরু হয়েছিল তখন প্রতিদিন ৭০-৮০ জনের রান্না হত। পরে তা কমে ৩০-৪০ জনে নেমে আসে। কিন্তু এখন আবার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক গরিব মানুষ অসুবিধায় পড়েছেন। তাই তাঁরাও এখান থেকে মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে খাবার সংগ্রহ করছেন। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ জনের রান্না করতে হচ্ছে। তবে এখন করোনা সংক্রমনের জেরে বসিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে। পার্সেল করে সকলের হাতে খাবার তুলে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আরামবাগ পুর প্রশাসক স্বপন নন্দী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী গরীব মানুষদের জন্য এই ক্যান্টিন চালু করেছেন। বর্তমানে বহু মানুষ চরম অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। তাঁরা এখন এখান থেকে খুব অল্প খরচে খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়াও কোন কোন শুভানুধ্যায়ী কোন কোন দিন মাছ- মাংস উপহার দিচ্ছেন। সেদিন ক্যান্টিনে ডিমের বদলে মাছ-মাংস উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি