সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ দীর্ঘদিনের অবহেলা এবং প্রশাসনিক উদাসীনতার শিকার হতে হতে অবশেষে কিছুটা স্বস্তির হাওয়া বইতে শুরু করেছে আরামবাগ দৌলতপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর বুথ এলাকায়। প্রায় ১৫০ ফুট দীর্ঘ একটি ড্রেন ভেঙে যাওয়ায় নোংরা জল রাস্তায় জমে থাকত। ফলে প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগে পড়তেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও স্কুল-কলেজগামীদের জন্য এই রাস্তা পারাপার ছিল এক প্রকার যন্ত্রণার নামান্তর। “ক্ষমতায় না থেকেও মানুষের জন্য কাজ করা যায়”—এটাই প্রমাণ করল আরামবাগ বিজেপি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এই ড্রেনের বেহাল অবস্থা সম্পর্কে পৌরসভাকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার “উদাসীনতা” নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা।
অবশেষে আজ বুধবার বিজেপি আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্ত বেরার উদ্যোগে ওই ড্রেনটির পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে এই পদক্ষেপকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন।
স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, “বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তা জলমগ্ন হয়ে যেত। নোংরা জলের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হতো। শিশুদের স্কুলে যাওয়া, রোগীদের হাসপাতালে যাওয়া সবই কঠিন হয়ে উঠেছিল। আজ কাজ শুরু হওয়ায় আমরা আশাবাদী যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো।”
অন্যদিকে, বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব দাবি করেছেন—এটি প্রমাণ করছে যে শাসক দল মানুষের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ, অথচ বিরোধী দল মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে শাসক দলের তরফে কেউ এ ব্যাপারে এখনও প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া দেননি।
প্রায় ১৫০ ফুট দীর্ঘ এই ড্রেনের কাজ সম্পূর্ণ হলে এলাকায় জল জমার সমস্যা অনেকাংশেই দূর হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তাদের আশা, এই কাজের মাধ্যমে দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে এবং আবারও স্বাভাবিক হবে পথচলা।

![]()

More Stories
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক — আরামবাগের সিপিআইএমের নেতা সমীর চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতায় উঠে এল সংগঠনের বাস্তবতা
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পড়ুয়া সংকটে গোঘাটের লাইব্রেরিগুলি – পাঠক টানতে উদ্যোগের খোঁজে গ্রন্থাগারগুলি
কোলাহলের মাঝেই চলছে অখণ্ড হরিনাম— হুগলির বদনগঞ্জের কয়াপাট বাজারের মন্দিরে ৪৬ বছরের ঐতিহ্য