সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ ভাবা দিঘির জমি জটের কারণে কামারপুকুর -জয়রামবাটি হয়ে বিষ্ণুপুর রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ দীর্ঘদিন ধরেই আটকে আছে। অন্যদিকে, মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপর রামকৃষ্ণ সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ায় আরামবাগ শহরের সঙ্গে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে কোতুলপুর–চন্দ্রকোনা–রামজীবনপুর–জয়রামবাটী এই সমগ্র এলাকার যাত্রীদের এখন ভরসা একমাত্র গোঘাট স্টেশন। আর তাতেই গোঘাটে নিত্যযাত্রীদের ওপর চাপ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
কিন্তু যাত্রীরা জানাচ্ছেন, বাড়তি ভিড় সামলানোর মতো পরিকাঠামো গোঘাট স্টেশনে নেই। অধিকাংশ দিন ভিড়ের সময় একটি মাত্র টিকিট কাউন্টার খোলা থাকে আরামবাগ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকা একাধিক ট্রেন অবিলম্বে গোঘাট পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি তাঁরা বারবার রেল দপ্তরে জানিয়েছেন। লিখিতভাবে দাবি জমা দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ।
স্টেশনের শৌচালয় ব্যবস্থার দুরবস্থা নিয়েও ক্ষোভ তীব্র। বিশেষ করে মহিলা যাত্রীরা জানাচ্ছেন—“বাথরুম থাকলেও ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় নেই। অনেক সময় বাধ্য হয়ে লজ্জা সরম ফেলে বাইরে বাথরুম করতে হচ্ছে।” নিত্যযাত্রী রঞ্জিত সাঁতরা বলেন, “প্রতিদিন ভিড় সামলাতে আমাদের নাজেহাল অবস্থা হয়। ট্রেন বাড়ানো হলে যাত্রীদের কষ্ট অনেকটা কমবে।”
স্থানীয় বাসিন্দা সুমিতা মাঝির কথায়, “স্টেশনে মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচালয় কার্যত অকেজো। এই অবস্থায় নিরাপত্তা ও মর্যাদা দুই-ই বিঘ্নিত হচ্ছে।”
প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী গোঘাট স্টেশন ব্যবহার করছেন। কিন্তু প্ল্যাটফর্মে পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা নেই, পানীয় জলের নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থাও করা হয়নি। ফলে যাত্রীদের অস্বস্তি বেড়েই চলেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

![]()

More Stories
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লড়াই আজও প্রাসঙ্গিক — আরামবাগের সিপিআইএমের নেতা সমীর চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতায় উঠে এল সংগঠনের বাস্তবতা
আধুনিক প্রযুক্তির যুগে পড়ুয়া সংকটে গোঘাটের লাইব্রেরিগুলি – পাঠক টানতে উদ্যোগের খোঁজে গ্রন্থাগারগুলি
কোলাহলের মাঝেই চলছে অখণ্ড হরিনাম— হুগলির বদনগঞ্জের কয়াপাট বাজারের মন্দিরে ৪৬ বছরের ঐতিহ্য