বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রীর হাতেই তদারকী সরকারের দায়িত্ব
সোমালিয়া ওয়েব নিউজঃ নেপালের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অবশেষে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় সমাধানের পথ খুলছে। দেশের দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হচ্ছে এক প্রাক্তন বিচারপতির হাতে। নেপাল সেনাবাহিনী ও প্রতিবাদী জনতার দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি হতে চলেছেন নেপালের তদারকী প্রধানমন্ত্রী। সেনা সূত্রে খবর, তিনি ইতিমধ্যেই এই নতুন দায়িত্ব গ্রহণে সম্মতি জানিয়েছেন।
সুশীলার নাম নেপালের রাজনীতিতে নতুন নয়। ২০১৬ সালে তিনি ইতিহাস গড়েছিলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হয়ে। পরের বছরই দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান নিয়ে ওলি সরকারের সঙ্গে তীব্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সরকারি রোষানলে পড়ে তাঁর বিরুদ্ধে সংসদে আনা হয়েছিল ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব। তবে প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে শেষমেশ সরকারকেই পিছু হটতে হয়েছিল। সেই সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে সুশীলার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী সুশীলা রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর দেশে ফিরে আইনশাস্ত্রে পড়াশোনা ও ডিগ্রি অর্জন করে যোগ দেন বিচারব্যবস্থায়। কর্মজীবনে অবসর নেওয়ার পরও তিনি সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত থেকে লিখেছেন দু’টি বই, যার মধ্যে একটি আত্মজীবনী।
বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি ও নেতৃত্ব সংকটে জর্জরিত নেপালে সুশীলার নেতৃত্বে তদারকী সরকারের সূচনা নতুন প্রত্যাশা তৈরি করছে। সেনাবাহিনী এবং সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তিনি এই নতুন দায়িত্ব সামলাতে পারেন কি না, এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।

More Stories
আমেরিকার শাটডাউন ও তার ছায়া: ভারতীয় অর্থনীতি ও প্রবাসীদের জন্য কী বার্তা?
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ দিলেন নেপালের সুশীলা কার্কি
হংকং-ঝুহাই-ম্যাকাও সেতু