সোমালিয়া ওয়েব নিউজ; রামকৃষ্ণ সেতুর দীর্ঘদিনের না সারাই এখন জেলার পরিবহন ব্যবস্থাকে ধুঁকতে বাধ্য করেছে। প্রতিদিনই সেতুর সমস্যার জেরে বিপাকে পড়ছেন বাস মালিক থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রী পর্যন্ত। এর সবচেয়ে বড় আঘাত পড়েছে চালক, খালাসি ও কন্ডাক্টরদের জীবনে। আরামবাগ–বর্ধমান ছাড়া অন্যান্য রুটের বাস যেমন—হলদিয়া–বর্ধমান, পাঁশকুড়া–বর্ধমান, কামারপুকুর–বর্ধমান, দীঘা–বর্ধমান—সবকটিকেই একলক্ষী বেঙ্গাই হয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে। ফলে যাত্রাপথ লম্বা হচ্ছে, খরচ বাড়ছে, আর যাত্রী সংখ্যা কমছে চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে আরামবাগের যাত্রীদের উপর নির্ভরশীল এই বাসগুলো এখন প্রায় সিট খালি অবস্থায় চলাচল করছে। পাঁশকুড়া–বর্ধমান রুটের একটি বাসে উঠে আমাদের চোখে পড়ল—অধিকাংশ আসন ফাঁকা। স্টাফদের মুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। এক কন্ডাক্টর হাহাকার করে বললেন,**“যাত্রী নেই, আয় নেই। প্রতিদিন গাড়ি চালাই শুধু আশা নিয়ে। মালিককে প্রতিদিনের টাকা তুলেই দিতে হয়, সেটা জোগাড় করা দুঃস্বাধ্য। পুজোর বোনাস তো স্বপ্ন।”**বাস মালিকদের অবস্থা আরও করুণ। প্রতিদিনের তেল, ট্যাক্স আর মেরামতির খরচ মেটাতে নাভিশ্বাস। কর্মচারীদের বেতন মেটানোই এখন তাঁদের কাছে পাহাড়সম বোঝা। এ অবস্থায় সাধারণ কর্মচারীরা দাঁড়িয়েছেন এক চরম দোটানায়। একদিকে চাকরি হারানোর ভয়, অন্যদিকে সংসারের ভাঙা হাড়ভাঙা খরচ। প্রতিদিনের জীবন হয়ে উঠেছে সংগ্রামের। রামকৃষ্ণ সেতুর দ্রুত মেরামতির দাবি জানিয়েছেন পরিবহনকর্মীরা। তাঁদের মতে, এখনই ব্যবস্থা না নিলে একে একে বন্ধ হয়ে যাবে বহু রুটের বাস পরিষেবা। আর তার ধাক্কা সরাসরি এসে পড়বে হাজার হাজার মানুষের জীবনে।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি