October 5, 2025

ছবি: সৌজন্যে গুগল

আধার কার্ড ও মোবাইল নম্বর, রেশন কার্ডে সংযোগ এবং ইপস মেশিনের সমস্যায় জেরবার রাজ্যের রেশন ডিলার থেকে সাধারণ গ্রাহক

সোমালিয়া ওয়েব নিউজ: রাজ্য সরকারের আদেশ অনুযায়ী রেশন দোকান গুলিতে বায়োমেট্রিক অর্থাৎ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে রেশন নেওয়া চালু হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইপস মেশিন গুলি তুলনামূলক অনেক ছোট আকারের হওয়ায়, প্রচুর সংখ্যক রেশন গ্রাহককে ওই মেশিনে এন্ট্রি করা, রেশন ডিলারদের পক্ষে ওই মেশিন অপারেট করা খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছে। কিপ্যাড এবং ডিসপ্লে খুবই ছোট তাই দেখারও অসুবিধা হচ্ছে। এই মত অবস্থায় রেশন ডিলাররা ডেস্কটপে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের বা সফটওয়্যার এর দাবি অনেকদিন ধরেই করছেন। ডেক্সটপ এর স্ক্রিন অনেকটাই বড় এবং এর সাথে আলাদা করে কিবোর্ড, মাউস সংযোগ করা কাজের ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা এবং এই পদ্ধতিতে খুব দ্রুত কাজ করা সম্ভব। এই করোনা পরিস্থিতিতে ডেক্সটপ এর সাথে আলাদা করে বায়োমেট্রিক ডিভাইস ও চোখের মণির স্ক্যানার সংযোগ করা উচিত, এর ফলে রেশন ডিলারদের থেকে রেশন গ্রাহকদের অনেকটাই দূরত্ব মেনটেন করা সম্ভব হবে, তা না হলে ওই ছোট্ট ইপস মেশিনের কাছাকাছি সংস্পর্শে এসে প্রত্যেকে ওই ছোট ইপস মেশিনটি ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপদজনক। করোনা পরিস্থিতিতে অনেক রেশন গ্রাহক ভয়ে বায়োমেট্রিক ডিভাইসে হাতের ছাপ দিতে অস্বীকার করছে। ইপস মেশিনে প্রত্যেকের হাতের ছাপ মিলছে না অনেক ক্ষেত্রে অটিপি মোবাইল নাম্বারে যাচ্ছে না, সার্ভারের সমস্যার জন্য সার্ভার এরোর, নেটওয়ার্ক ফেলিওর ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই রেশন গ্রাহকদের অনেকক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। গ্রাহকদের ক্ষোভের মুখে পড়ছে সাধারণ রেশন ডিলার। রেশন ডিলারদের একাংশ মনে করছেন এইভাবে রেশন দ্রব্য বিলি বন্টন করা অসম্ভব। বর্তমান পরিস্থিতিতে এতকিছু আদেশনামার ফলে সাধারণ রেশন ডিলাররা মানসিক চাপে জর্জরিত।তারা আরো বলছেন সরকারের পক্ষ থেকে এই ইপস মেশিনের ব্যবহার নিয়ে, রেশন ডিলারদের সমস্যার কথা না জেনে বুঝে তাদের ওপর যথেষ্ট চাপ দেওয়া হচ্ছে। সঠিক সময়ে উপযুক্ত কমিশন রেশন ডিলারের পাচ্ছেন না এমনকি বেশকিছু রেশন ডিলার এখনো পর্যন্ত কমিশন পাননি। তারপর তো রেশন দ্রব্যের কমতা এবং গুণগত মান নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা আছেই। অধিকাংশ ইপস মেশিনে ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেকটাই কম অথবা ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গিয়েছে, অনেক জায়গাতে নেটওয়ার্ক নেই, প্রযুক্তিগত সমস্ত ব্যবস্থা আগে সঠিক করে তবেই অনলাইন কাজ শুরু করা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আবার এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ড নম্বর এবং মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। আগেও রেশন ডিলার আধার কার্ড নম্বর সংযোগ এবং মোবাইল নম্বর সংযোগের কাজ করেছিলেন কিন্তু সেই কাজের খাদ্য দপ্তরের পুরোপুরি সাফল্য আসেনি। রেশন ডিলাররাও ওই কাজের জন্য কোনোরকম পারিশ্রমিক পাননি। এখন খাদ্য দপ্তরের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে এই কাজ গ্রাহক নিজে থেকেই করে নিতে পারবেন কিন্তু সমস্যা হল ওটিপি আসতে অনেক সময় লাগছে, আধার কার্ডের ছবি ঠিকমতো আপলোড হচ্ছে না, যাদের আধার কার্ড নেই অথচ রেশন কার্ড আছে তাদের ক্ষেত্রে আধারের তথ্য পূরণ না করলে ফর্ম সাবমিট করা যাচ্ছে না সেক্ষেত্রে দপ্তরের এখনো পর্যন্ত কোন গাইডলাইনস নেই,আবার অনেক ক্ষেত্রে সার্ভার এরোর দেখাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন খাদ্য দপ্তরের ওয়েবসাইট এত সংখ্যক মানুষের আধার কার্ড নাম্বার সংযোগ এবং মোবাইল নাম্বার সংযোগের ক্ষেত্রে কার্যক্ষমতা ওয়েবসাইটটির অনেকটাই কম সে ক্ষেত্রে দপ্তরের উচিত এর কার্যক্ষমতা আরো বাড়ানো। এর সাথে সাথে বিশেষ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ চালু করা উচিত। তবে ইতিমধ্যে খাদ্য দপ্তর ঘোষণা করেছেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ড ও মোবাইল নাম্বার সংযোগ করা হবে।

Loading