October 6, 2025

সংশোধিত মার্কশিট পেয়ে হাসি ফুটল আরামবাগ গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রীদের

সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর শুক্রবার স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আরামবাগ গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সংসদের ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী ছাত্রীদের নম্বর মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই তাদের অনেকেরই ১৫ থেকে ২৫ নম্বর কম পেয়েছে। তাই সেদিন ওই সমস্ত ছাত্রীরা তাদের মার্কসিট নিতে অস্বীকার করে। দু’বছর আগে মাধ্যমিকে এই স্কুল থেকেই রাজ্যে মেধা তালিকায় নবম স্থান পেয়েছিল দেবলীনা দাস। সে জানিয়েছিল, মাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণির নম্বর মূল্যায়ন করে তার পাওয়ার কথা ৪৮২ নম্বর। কিন্তু তাকে দেওয়া হয়েছে ৪৬৩ নম্বর। অন্যান্য ছাত্রীদেরও একই ধরনের অভিযোগ ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন স্কুলের সভাপতি তথা আরামবাগ পুরপ্রশাসক স্বপন নন্দী। বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন আছেন। সেখান থেকে বসেই তিনি সংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগী হন। শনিবারই সভাপতি স্বপন নন্দী জানিয়েছিলেন, সংসদ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। রবিবারেই ছাত্রীদের হাতে পুনর্মূল্যায়নের পর নতুন মার্কসিট তুলে দেওয়া হবে। সেই কথামতো রবিবার স্কুলে ছাত্রীরা হাজির হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও অন্যান্য শিক্ষিকারা ওই সমস্ত ছাত্রীদের হাতে নতুন মার্কসিট তুলে দেন। এবার সঠিক নম্বর পেয়ে খুবই খুশি ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা। দেবলীনা তার হিসেব মতো ৪৮২ নম্বরই পেয়েছে। এদিন দেবলীনা বলে, আমাদের দাবি অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে স্কুলের সভাপতি এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে। আমরা অত্যন্ত খুশি। একইরকম সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেবলীনার বাবা গৌতম দাস। তিনি বলেন, কম নম্বর পাওয়ায় ছাত্রীদের ভর্তি হওয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারত। তাই আমরা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে সেদিন বিক্ষোভ দেখিয়েছিলাম। এর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু যে দ্রুততার সঙ্গে স্কুল সভাপতি স্বপন নন্দী বিষয়টির সমাধান করলেন তার জন্য ছাত্রীদের পাশাপাশি সমস্ত অভিভাবকরাও তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে রইলেন। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাজশ্রী দে বলেন, স্কুলের সভাপতি স্বপন নন্দী অসুস্থ অবস্থায় নার্সিংহোমে থাকা সত্ত্বেও ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে যেভাবে উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টির সমাধান করলেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা স্কুলের পক্ষ থেকেও সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। এখন ছাত্রীরা সঠিক নম্বর পাওয়ায় আমরাও খুশি। 

Loading