সোমালিয়া সংবাদ, খানাকুল: পরিকল্পনাহীন ভাবে ডিভিসি জল ছাড়ার জন্যই খানাকুলে বন্যা পরিস্থিতির ভয়ঙ্কর অবস্থা। এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। তিনি বলেন, অতিরিক্ত জল ছাড়ার জন্যই মানুষকে এত বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মঙ্গলবার তিনি বন্যা বিধ্বস্ত খানাকুলের বিভিন্ন এলাকা নৌকায় করে পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন তারকেশ্বর বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায়, তৃণমূল নেতা মুন্সি নজবুল করিম ছাড়াও অন্যান্য তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। এদিন তাঁরা গাড়িতে করে খানাকুলে এসে পৌঁছান। কিন্তু খানাকুলে ঢোকার পর রাস্তা জলমগ্ন থাকায় তাঁরা ট্রাক্টরে চেপে খানাকুলের রাজহাটি এলাকায় যান। সেখান থেকে নৌকায় চড়ে রওনা দেন জলমগ্ন গ্রামগুলিতে। সেখানে গিয়ে কথা বলেন বানভাসি মানুষদের সঙ্গে। তাঁদের অনেকের হাতেই তাঁরা ত্রিপল তুলে দেন। এছাড়াও বাচ্চাদের হাতে খাদ্যসামগ্রী উপহার দেন। পরে মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে। বহু মানুষকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাঁরা বাড়ি ছেড়ে যেতে চাইছেন না তাঁদের জন্য ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার আধিকারিকদের নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। যাতে বন্যার্ত কোন মানুষ অসুবিধায় না পাড়েন তাই জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, ব্লক আধিকারিক সকলেই একযোগে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছেন। পানীয় জলের মেশিন ও গাড়ি এনে পাউচ তৈরি করে দুর্গত এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে বিদ্যুৎ নেই সেখানে জেনারেটর চালিয়ে সাবমারসিবল পাম্পের মাধ্যমে পানীয় জল তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে তিনি খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ সম্পর্কে বলেন, আমাদের কিছু সাংগঠনিক ত্রুটির জন্য উনি হয়তো জিতে গেছেন। কিন্তু এই দুর্যোগের সময়ও বাড়িতে বসে আছেন। ওনাকেও হয়তো আমাদের উদ্ধার করতে নামতে হবে। অন্যদিকে তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের এদিন খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের ত্রাণশিবিরগুলি ঘুরে দেখেন। কোথাও কোন অসুবিধা আছে কিনা তার খোঁজখবর নেন। আরামবাগ পুরপ্রশাসক স্বপন নন্দী এদিন চিঁড়ে, গুড়, মুড়ি, জলের পাউচ ইত্যাদি নিয়ে ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধা
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি