সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হেলিপ্যাড তৈরি করা। সেরকমই একটি হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছিল আরামবাগ শহরের পল্লীশ্রীতে। তখন এই হেলিপ্যাড তৈরি নিয়ে অনেকেই টিপ্পনী কেটেছিলেন। কিন্তু সোমবার খানাকুলের বন্যা কবলিত মানুষদের যেভাবে এই হেলিপ্যাড ব্যবহার করে উদ্ধার করা হল তা আরামবাগ মহকুমাবাসীর চিরদিন মনে থাকবে। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদেরকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার উদ্ধার করে এদিন এই হেলিপ্যাডেই নামানো হয়। সকাল থেকেই বারবার হেলিকপ্টারের গর্জন শুনে আরামবাগবাসী একাধিকবার আকাশে চোখ রেখেছিলেন। প্রথমে বুঝতে পারছিলেন না কি হচ্ছে। পরের লোকমুখে সবাই জানতে পারেন বন্যাকবলিত মানুষদেরকে ওই হেলিকপ্টারে করে সেনাবাহিনী উদ্ধার করছে। এরপর দলে দলে মানুষ হেলিপ্যাডের দিকে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে নিজেদের চোখে দেখেন কিভাবে সেনাবাহিনী মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে। যে হেলিপ্যাড নিয়ে কেউ কেউ হাসি ঠাট্টা করেছিল, সেই হেলিপ্যাডই এদিন অসংখ্য মানুষের কাছে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এরপরই এই হেলিপ্যাডের গুরুত্ব নতুন করে সমস্ত মানুষ উপলব্ধি করেছেন। জরুরী প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শিতার প্রশংসায় অনেকেই পঞ্চমুখ। এ বিষয়ে আরামবাগ পৌর প্রশাসক স্বপন নন্দী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেন সবকিছুর ভবিষ্যতের জন্য আগে থেকেই ভেবে করেন। তাই এরকম হেলিপ্যাড রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তিনি তৈরি করেন। আরামবাগবাসী হিসেবে এরকম একটা হেলিপ্যাড পেয়ে আরামবাগের মানুষ গর্বিত। তবে শুধু এই হেলিপ্যাডই নয়, মুখ্যমন্ত্রী আরামবাগবাসীর জন্য অনেক কিছু দিয়েছেন। রেলের মানচিত্রে আরামবাগকে যোগ করার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর অবদান আরামবাগের মানুষ চিরদিন মনে রাখবেন। এছাড়াও মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তিনি সবকিছুই দিয়েছেন।
More Stories
জয়রামবাটিতে স্টেশনের উদ্বোধন ১১ ডিসেম্বর করার দাবি : কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের আবেদন
দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে মৃত ১৩, নিখোঁজ ১
কালীঘাটে বিজয়া সম্মিলনীতে মমতা–অভিষেক