October 6, 2025

তৃণমূল নেতৃত্বের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন মাঝরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া এক মহিলা যাত্রাশিল্পী

সোমালিয়া সংবাদ, গোঘাট: মাঝরাতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়া এক বয়স্ক যাত্রাশিল্পীর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে প্রাণে বাঁচালেন তৃণমূল নেতারা। ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের কামারপুকুরে। ওই যাত্রাশিল্পীর নাম গীতা পরামানিক। বয়স প্রায় ৬০ বছর। যাত্রাশিল্পী হিসেবে তিনি কামারপুকুর সহ আশেপাশের জেলায় খুবই জনপ্রিয়। তিনি বিয়ে করেননি। তাঁর বাপের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদাতে। ১৮ বছর বয়সে যাত্রার টানে তিনি ‘মিনি চিৎপুর’ হিসেবে পরিচিত কামারপুকুরে চলে এসেছিলেন। সেই থেকে কামারপুকুরেই বিভিন্ন  অপেরাতে যাত্রা করতেন। পরে কামারপুকুরে  জায়গা কিনে বাড়িও করেন। সেখানে তিনি একাই থাকেন। কিন্তু গত দেড় বছর করোনার জেরে যাত্রাও বন্ধ।  তাঁর খুব দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটছিল।  শুক্রবার রাত দশটার পর থেকেই তিনি অসুস্থতা বোধ করতে শুরু করেন। রাত একটা নাগাদ বুকে ও পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। রাতের অন্ধকারে ওই অবস্থায় কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। তখনই তিনি তড়িঘড়ি ফোন করেন গোঘাটের  তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদারকে। মানসবাবু স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা গোঘাট দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সৈয়দ মকবুল হোসেনকে বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গেই মকবুলবাবু দলের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গীতাদেবীর বাড়ি কামারপুকুর সারদাপল্লীতে পৌঁছে যান। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা জানান, দেরি করলে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। যদিও আপাতত তিনি অনেকটাই সুস্থ। প্রাথমিক অনুমান পেটে পাথর বা হার্টের কোন সমস্যা থেকেও যন্ত্রনা হতে পারে। চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। এদিকে মকবুলবাবু রাতেই তাঁর বাপের বাড়ি মেচেদাতে খবর দেন। শনিবার সকালে মেচেদা থেকে গীতাদেবীর ভাই, বৌদি এবং পরিবারের অন্যান্যরা ছুটে আসেন। তাঁরা গীতাদেবীকে মেচেদাতে নিয়ে গিয়ে আরও ভালভাবে চিকিৎসা করাবেন বলে জানান। এরপরেই প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার, সৈয়দ মকবুল হোসেন গীতাদেবীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে তাঁর বাপের বাড়ির লোকেদের হাতে তুলে দেন। এই ঘটনায় গীতাদেবী ও তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা গোঘাটের তৃণমূল নেতাদের এই মানবিক উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। যদিও এ ব্যাপারে সৈয়দ মকবুল হোসেন বলেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির  অনুগত  কর্মী। তাই তাঁর আদর্শ ও নির্দেশ মেনে আমরা সবসময় চলি। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই আমরা মানুষের পাশে থেকে কাজ করি। তাই এসব কাজ আমাদের কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।

Loading