সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষিত হয়েছে আগেই। মাদার এবং যুব উভয় সংগঠনের পাশাপাশি শহর তৃণমূল সভাপতিদেরও নতুনভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোথাও অবিভক্তভাবে আবার কোথাও বা জেলাকে বিভিন্ন লোকসভায় ভেঙে এই পদ দেওয়া হয়েছে। কোথাও প্রত্যাশামতোই নেতারা পদ পেয়েছেন, আবার কোথাও সম্পূর্ণ নতুন কাউকে এইসব পদে বসানো হয়েছে। কিন্তু এরপরেই ঘুম ছুটেছে ব্লক ও অঞ্চলের তৃণমূল নেতাদের। কারণ এখনও ব্লক ও অঞ্চল সভাপতির নাম ঘোষণা করতে বাকি রয়েছে। আর এই পদে বসার জন্য অনেক নেতাই এখন জেলা ও রাজ্যস্তরে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, খুব শীঘ্রই আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার প্রতিটি ব্লকেই নতুন সভাপতি ও যুব সভাপতিদের নাম ঘোষিত হবে। কিন্তু সেই পদ কে পেতে চলেছেন তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। তবে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব সূত্রে জানা গেছে, এবার শুধুমাত্র জেলাস্তর থেকে এই নাম ঘোষণা হবে না। এর জন্য রাজ্য নেতৃত্বের সিলমোহর যেমন লাগবে তেমনই পিকের টিমের সমীক্ষাকেও ভীষণভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব সমীক্ষা ও মতামতও প্রাধান্য পেতে চলেছে। তাই পুরো ব্যাপারটিই এখনও ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। একইভাবে আরামবাগ মহকুমার ছটি ব্লকের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা নতুন সভাপতি পেতে পারেন বলে জানা গেছে। যুব সভাপতিদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস ঘটতে পারে। তবে বর্তমান ব্লক সভাপতিদের মধ্যে খুব কমজনই তাঁদের পদ ধরে রাখতে পারবেন। আরামবাগ ব্লকের ক্ষেত্রেও সেই একই কথা প্রযোজ্য। আরামবাগ ব্লকে এবার নতুন কোন মুখ বসানো হবে নাকি অভিজ্ঞ কোন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিয়েও জল্পনা চলছে। যদি অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় তাহলে সেক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রধান দাবিদার প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা। কারণ এই মুহূর্তে তিনি দলের সমস্ত গোষ্ঠীর কাছেই গ্রহণযোগ্য। পাশাপাশি এতদিন তিনি দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডাইরেক্টর পদে ছিলেন। সেই পদ এবার দেওয়া হয়েছে গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদারকে। অর্থাৎ তিনি ওই পদটিও হারিয়েছেন। তাই এবার তাঁকে যদি পরিবর্তে আরামবাগ ব্লকের সভাপতি করা হয় তাহলেও আশ্চর্য কিছু থাকবে না। তবে অভিজ্ঞদের তালিকায় আরও একটি নাম ঘোরাফেরা করছে। সেটি হল পৌর প্রশাসক স্বপন নন্দী ঘনিষ্ঠ শিশির সরকার। কারণ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে দল। এছাড়াও যে সমস্ত নাম উঠে আসছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন কমল কুশারী। শোনা যাচ্ছে সুনীল সামন্ত, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নামও। কিন্তু এর বাইরে ডার্ক হর্স হিসাবে নতুন কোন নাম হঠাৎ ঘোষণা হয়ে গেলেও তাতে আশ্চর্যের কিছু থাকবে না।
More Stories
বিহার নির্বাচনে কংগ্রেসের তিন পর্যবেক্ষক ঘোষিত
মহালয়ার ভোরে রেডিও শোনার ঐতিহ্য ও বর্তমান বাস্তবতা
BRICS দেশগুলোর সঙ্গে ১০০% রুপিতে বাণিজ্যের প্রসঙ্গ