October 5, 2025

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গেই চড়া হচ্ছে ফলের দাম

সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: পেট্রোল-ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম যতই বাড়ছে এবার ততই চড়া হচ্ছে অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম। বিশেষ করে এই রমজান মাসের রোজা এবং চৈত্র মাসের গাজনের সময় এই দাম বৃদ্ধিতে কপালে ভাঁজ পড়েছে সাধারণ মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই তার থেকে ফলের দামও বাদ যায়নি। অন্যদিকে রোজা শুরু হওয়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এই সময় ফলের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। অন্যদিকে চৈত্র-গাজন উপলক্ষে গ্রামের সন্ন্যাসীরা সারাদিন ফলাহার করে থাকেন। এছাড়াও  বাসন্তী পুজো অন্নপূর্ণা পুজো, রামনবমী এই চাহিদা বাড়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই ভূমিকা নিয়েছে।  শনিবার আরামবাগ বাস স্ট্যান্ড, পুরাতন বাজার, গৌরহাটি মোড় ইত্যাদি এলাকায় এক কেজি আপেল বিক্রি হয়েছে গুণগত মান হিসেবে ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। মাস খানেক আগেও ওই আপেলের দাম ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কমলালেবু এবং মৌসাম্বি লেবু ১৫ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগেও ছিল ১০ টাকা। আঙ্গুর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, তরমুজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কলা ৫০ টাকা ডজন হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। যদিও বেদানা এবং  পেয়ারার দাম এখনও তেমন ভাবে খুব একটা বাড়েনি। বেদানা ১৫০ টাকা এবং পেয়ারা ৮০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আরামবাগ তালতলা বাজারের ফল বিক্রেতা পরিতোষ রায় বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে ফলের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে অন্যান্য বছর এই সময় এরকমই দাম থাকে। কারণ এখন রমজান মাস এবং চৈত্র গাজন। সাধারণ মানুষের কাছে ফলের চাহিদা অনেক বেশি। অন্যদিকে আরামবাগ বাস স্ট্যান্ডের ফল ব্যবসায়ী শেখ রাজা, শেখ সিরাজ বলেন, এখনও পর্যন্ত ফলের দাম যেটুকু বেড়েছে তাতে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই। কারণ এই সময় এরকমই দাম থাকে। কিন্তু আরামবাগে ফল কিনতে আসা গোঘাটের বাসিন্দা সেখ আজাহার বলেন, সমস্ত জিনিসের দাম বেড়েছে। সেই তুলনায় আমাদের মত সাধারন মানুষের উপার্জন অনেক কমে গেছে। তাই যেভাবে ফলের দাম বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষ আরও অসুবিধায় পড়েছে। এবার গাজনে সন্ন্যাসী হয়েছেন খানাকুলের রঞ্জিত পাত্র। ফলের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, অনেকটাই অসুবিধা হচ্ছে। কারণ এই সময়ে আমাদেরকে অনেক বেশি ফল খেয়ে থাকতে হয়। এই কয়েকদিনে দেখছি অনেক দাম বেড়ে গেছে। তবে শুনছি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এ ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আর তার ফলে ফলের দাম যে খুব বেশি বাড়বে না সে বিষয়ে আমরা অনেকটাই আশাবাদী।

Loading