সোমালিয়া সংবাদ, আরামবাগ: গতবছর একের পর এক বন্যায় আরামবাগ মহকুমার নদী সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ভেঙেচুরে নষ্ট হয়ে যায়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল খানাকুল ও গোঘাট এই দুই থানার বেশিরভাগ অঞ্চল। এছাড়াও পুরশুড়া ও আরামবাগের বেশ কিছু অংশও ক্ষতির মুখে পড়েছিল। তারমধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ১৭টি রাস্তা। আর সেগুলিই দ্রুত গতিতে মেরামতের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর। এই রাস্তাগুলো মেরামতের জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় চার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাস্তাগুলির মধ্যে রয়েছে কিশোরপুর থেকে রামনগর, মইখন্ড পালপাড়া থেকে গোবিন্দপুর, সাওড়া ভীমতলা থেকে গোয়ালপাড়া, উদয়রাজপুর থেকে মুক্তারপুর, কুমারগঞ্জ থেকে শালিকনা, শ্যাঁকাটি থেকে শুলুট, অমরপুর থেকে কাবিলপুর, আলাটি মোড় থেকে কুলবাৎপুর, কৃষ্ণবাটি মোড় থেকে দুলালবাটি, শুনিয়া থেকে বামুনিয়া ইত্যাদি। উল্লেখ্য, গতবছর বন্যার ফলে এই সমস্ত রাস্তা ভেঙেচুরে একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। কোথাও কালভার্ট আবার কোথাও কংক্রিটের সেতু ভেসে যায়। গ্রামের মানুষ একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করে বহু মানুষকে যাতায়াত করতে হয়েছে। দুর্যোগের পরেই হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখার্জির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল বারবার এলাকা পরিদর্শন করেছিল। তাঁরাই তথ্য সংগ্রহ করে রাস্তা সংস্কারের জন্য রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ীই এই মেরামতের সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখার্জি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেশকিছু রাস্তা মেরামতের কাজ আগেই শুরু হয়েছে। এবার এই ১৭টি রাস্তার জন্য আলাদা আলাদাভাবে এস্টিমেট করা হয়েছে। প্রতিটি রাস্তার জন্য পৃথক পৃথকভাবে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকারি কিছু প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে সবকটি রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাবে।
More Stories
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির গোঘাট এক নম্বর আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
গোঘাটে দুর্গোৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রাবণ কাটা’ রথের মেলা
রামকৃষ্ণ সেতু ২৪x৫ ঘন্টা খোলা রাখার আবেদন মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া পর্যন্ত — দুর্গাপুজোয় নির্বিঘ্ন যাতায়াতের স্বার্থে বিধায়ক মধুসূদন বাগের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি